দেশের খবর: ভারতীয় গোয়েন্দার কাছে তথ্য পাচারের সময় বাংলাদেশি এক যুবককে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
তার নাম মিঠু (৩০)। তিনি রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার ভারতীয় সীমান্ত লাগোয়া চর আষাড়িয়াদহ ইউনিয়নের চর কানাপাড়া গ্রামের দুলাল হোসেনের ছেলে।
শনিবার সকালে গোদাগাড়ী উপজেলার চর আষাড়িয়াদহ ইউনিয়নের সাহেবনগর এলাকা থেকে আটক করা হলেও সন্ধ্যার পর বিষয়টি জানাজানি হয়।
জানা গেছে, আটকের পর তাকে বিজিবির সাহেবনগর সীমান্ত ফাঁড়িতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তবে বিজিবির পক্ষ থেকে দিনভর বিষয়টি গোপন রাখা হয়। পরে সন্ধ্যায় ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে রাজশাহী শহরে বিজিবি-১ ব্যাটালিয়নের সদর দপ্তরে পাঠানো হলে বিষয়টি জানাজানি হয়।
গোদাগাড়ীর সাহেবনগর সীমান্ত ফাঁড়ির কমান্ডার নায়েক সুবেদার শফিকুল ইসলাম শফিক জানান, সীমান্তের এপারে বাংলাদেশি লোকজন মাঠে কাজ করছিলেন। ওই সময় সীমান্তের ওপার থেকে কয়েকটি গবাদিপশু নিয়ে এপারে আসছিলেন কয়েকজন রাখাল। মিঠু ওইসব লোকজনের ছবি তুলে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গোয়েন্দা সংস্থার একজন কর্মকর্তার কাছে ম্যাসেঞ্জারের মাধ্যমে পাঠাচ্ছিলেন। বিষয়টি লোকজন বুঝতে পেরে বিজিবিকে খবর দেয়। এরপর তাকে আটক করে ফাঁড়িতে নেয়া হয়।
বিজিবি জানায়, মিঠুকে আটকের সময় তার কাছে থাকা দুটি মোবাইল ফোনে ভারতীয় সিমকার্ড সক্রিয় ছিল। আটকের পর মিঠুর মোবাইল ফোনটি সক্রিয় থাকার সময় বিএসএফের একজন গোয়েন্দা কর্মকর্তার ফোন আসে। পরে ফোনটি বন্ধ করে সেটি জব্দ করা হয়েছে। জব্দ করা হয়েছে ভারতীয় সিমকার্ডও। মিঠু প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, কিছুদিন ধরে তিনি বিএসএফের গোয়েন্দা কর্মকর্তার এজেন্ট হিসেবে কাজ করছিলেন। বিভিন্ন তথ্য তিনি পাচার করতেন।
নায়েক সুবেদার শফিকুল ইসলাম জানান, সীমান্তের এপারের বিভিন্ন স্থাপনা, ঘরবাড়ি ও মানুষের ছবি বিএসএফের কাছে পাঠানোর ঘটনাটি খুবই স্পর্শকাতর। তাই মিঠুকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন। এ জন্য তাকে ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। তার ব্যাপারে কর্মকর্তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।