দেশের খবর: নৌপথে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও শ্রমিক নির্যাতন বন্ধসহ ১১ দফা দাবিতে সারা দেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট শুরু করেছেন নৌপরিবহন শ্রমিকরা।
আজ মঙ্গলবার প্রথম প্রহর থেকে শুরু হওয়া এ ধর্মঘটের কারণে ভোগান্তিতে পড়েছেন নৌপথ ব্যবহারকারীরা।
বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাহ আলম ভূঁইয়া জানান, তাঁদের দাবিদাওয়া নিয়ে সোমবার রাতে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকের পরও কোনো ফল না পেয়ে তাঁরা এ ধর্মঘট কর্মসূচির ঘোষণা দেন।
এদিকে নেতাদের ধর্মঘটের ঘোষণার পর সোমবার রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে সদরঘাট, খুলনা ও মোংলা বন্দর থেকে যাত্রীবাহী ও মালবাহী সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রেখেছেন শ্রমিকরা।
তাঁদের অন্যান্য দাবির মধ্যে রয়েছে—কর্মস্থলে দুর্ঘটনায় নিহত মৃত শ্রমিকদের পরিবারকে ১০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া, ২০১৬ সালের বেতন স্কেলের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন, নৌযান শ্রমিকদের সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, ভারতগামী শ্রমিকদের ল্যান্ডিং পাস, জাহাজে কর্মরত প্রত্যেক নৌ শ্রমিককে মালিক কর্তৃক বিনামূল্যে খাবারের ব্যবস্থা করা, সমুদ্র ভাতা ও রাত্রিকালীন ভাতা প্রভৃতি।
এদিকে এ ধর্মঘটের পর সদরঘাট টার্মিনাল থেকে কোনো লঞ্চ ছেড়ে যায়নি বলে ইউএনবির কেরানীগঞ্জ প্রতিনিধি নিশ্চিত করেছেন।
নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের খুলনা অঞ্চলের সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন জানান, খুলনা ও মোংলা বন্দরেও সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। পাশাপাশি তারা জাহাজ থেকে পণ্য ওঠানামা করাও বন্ধ করে দিয়েছে।