তিন সন্তানের মুখে খাদ্য তুলে দিতেই গত পাঁচ বছর ধরে চট্টগ্রামে রিকশা চালিয়ে যাচ্ছেন মা মোসাম্মাৎ জেসমিন। সম্প্রতি অাল জাজিরা টেলিভিশনের সামজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক পেজে রিকশা চালক জেসমিনের একটি ভিডিও রিপোর্ট প্রকাশের পর তা ভাইরাল হয়।
কাতার ভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আল জাজিরাকে জেসমিন বলেন: আমি ভিক্ষা করিনা, রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করি৷
রিকশা চালানোর আগে বাসায় দাসীর কাজও করেছে জেসমিন। এছাড়াও গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতেও তিনি কাজ করেছেন।
কিন্তু তিন সন্তানের ভরণ পোষনের জন্য এসব মাধ্যম থেকে যে টাকা আসত তা নিতান্তই কম। আর ফ্যাক্টরির কাজ অনেক কঠিন।
সবকিছু বিবেচনা করে শেষমেশ রিকশা চালানোকেই পেশা হিসেবে নেন চট্টগ্রামের এই নারী৷ পুরষ রিকশা চালকদের থেকে অনেকট ব্যতিক্রমধর্মী এই নারী চালক। কেননা মাথায় হেলমেট পরে তিনি সপ্তাহে সাতদিনেই রিকশা চালান। আট ঘণ্টা কাজ করে দৈনিক রোজগার কমপক্ষে আটশো টাকা। এ থেকে রিকশার দৈনিক ভাড়া মিটিয়ে বাকিটা তার নিজেরই থাকে৷