স্বাস্থ্য ও জীবন: শীতকালে বাইরে ঠান্ডা আবহাওয়া ও ভেতরে উষ্ণতার জেরে কমবেশি সবারই ঠোঁট ফাটে। এটা খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। কিন্তু গরমেও যদি এমন অবস্থা হয়, তবে সেটাকে হেলা করা একেবারেই উচিত নয়। তীব্র গরমের মধ্যে ঠোঁট ফাটা হতে পারে যেকোনো রোগের লক্ষণ। যেমন-
ইস্ট ইনফেকশন: ইস্ট ইনফেকশনের কারণে গরমে ঠোঁট ফাটতে পারে। মূলত ঠোঁটের কোণে ফাটলে এটি হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। যাদের ঠোঁট চাটার অভ্যাস থাকে, তাদের এই ইস্ট ইনফেকশন বেশি হয়। এর জন্য প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হয়।
অ্যালার্জি: অনেক সময় শিয়া বাটার, ক্যাস্টর অয়েল বা মোম জাতীয় পদার্থ থেকে ঠোঁটে অ্যালার্জি হতে পারে। আবার বিভিন্ন খাবার থেকেও অ্যালার্জি হয়। এক্ষেত্রে খাবারের নোট রাখা জরুরি এবং যেসব খেলে অ্যালার্জি বাড়ে সেসব এড়িয়ে চলা উচিত।
ডিহাইড্রেশন: ফাটা ঠোঁট, মুখ এবং চোখ- এই সবই ডিহাইড্রেশনের লক্ষণ। এটি ঠিক করার জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন দিনে আট থেকে বারো গ্লাস পানি পান। ডিহাইড্রেশনের ফলে শরীরে মিনারেলের অভাব হয়। ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
সূর্যের তাপে পোড়া: গরমে সূর্যের তাপে চামড়া পুড়ে যায়। এর ফলে চামড়া শুষ্ক হয়ে যায়। এর জেরেই ঠোঁট ফেটে যায়। ফলে রোদে বেরনোর সময় ঠোঁটেও আলতো করে সানস্ক্রিন ম্যাসাজ করা জরুরি।
ভিটামিনের অভাব: শরীরে কোষের কাজের জন্য ভিটামিন বিটু প্রয়োজন। গরমে ঠোঁট ফাটার কারণ কিন্তু এই ভিটামিনের অভাবও হতে পারে। ডিম ও মাংস খেলে এই ভিটামিন শরীরে ঢোকে।
নিয়মিত ওষুধ সেবন: অনেক সময় নিয়মিত কোনো ওষুধ সেবনের জেরে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। ফলে ঠোঁট ফাটে। যদি তেমন কোনো ইঙ্গিত পান, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।