কে, এম, রেজাউল করিম দেবহাটা ব্যুরো : দেবহাটার সেকেন্দ্রায় একটি চায়ের দোকান ও একটি ফলের দোকান আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। সোমবার দিবাগত রাত ২টার (৩০ এপ্রিল) দিকে এ ঘটনা ঘটে। দোকানে লক্ষাধিক টাকার মালামাল ছিল বলে দাবি ক্ষতিগ্রস্তদের।
উত্তর পারুলিয়া-সেকেন্দ্রা গ্রামের মৃত আনার গাজীর ছেলে রুহুল আমিন জানান, তিনি সেকেন্দ্র মোড়ে একটি দোকানে বিভিন্ন ধরণের খাবার ও চা বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করেন। প্রতিদিনের ন্যায় তিনি চা বিক্রি করে রাত একটার দিকে বাড়িতে যান। রাত আড়াই টার দিকে সেকেন্দ্রা মসজিদের ইমাম দোকানটি আগুনে পুড়তে দেখে আমাকে খবর দেন এবং আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য মসজিদের মাইকে ঘোষণা দেন। এসময় আমি ও স্থানীয়রা এসে দেখি আমার দোকানে থাকা টিভি, গ্যাস সিলিন্ডার-চুলা, শো কেসসহ অন্যান্য মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়।একই সাথে পাশের ফলের দোকানে আগুন লেগে প্রায় অর্ধেক পুড়ে যায়।ফলের দোকানদার উত্তর পারুলিয়া গ্রামের অহাব আলীর ছেলে জাহিদ আলম জানান, তিনি তার দোকানটিতে ফল ও কাঁচা তরকারি বিক্রি করেন। আগুন লেগে আমার ফলের দোকানের অর্ধেকসহ দোকানের ভিতরে থাকা মালামাল পুড়ে গেছে।এ দিকে, দোকানদার রুহুল আমিন দাবি করেন, গত দুই সপ্তাহ আগে স্থানীয় ইউপি সদস্য সাহেব আলীর সাথে গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে তার ঝামেলা হয়। সেসময় ইউপি সদস্য সাহেব আলী তাকে মারপিট করে এবং দোকানটি পুড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়।এবিষয়ে ইউপি সদস্য সাহেব আলীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাকে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে দোষ দেওয়া হচ্ছে। আমি তাকে কখনো হুমকি দেয়নি। আমাকে আইনের চোঁখে অপরাধী সাজাতে এমন অপপ্রচার করছে।দেবহাটা থানার অফিসার ইনচার্জ বিপ্লব কুমার সাহা জানান, বিষয়টি আমি শুনেছি। তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের সহিংসতার সময় উক্ত দোকান দুটি পুড়িয়ে দিয়েছিল নাশকতাকারীরা।
দেবহাটার সেকেন্দ্রায় আগুন, দুটি দোকান পুড়ে ছাই
পূর্ববর্তী পোস্ট