বিদেশের খবর: মুসলমানদের পবিত্র মাস রমজানের আগে ‘ইসলামী উগ্রপন্থী’রা শ্রীলঙ্কায় আরো বোমা হামলার পরিকল্পনা করছে বলে আশঙ্কা করছে দেশটির সরকার। সংবাদমাধ্যম রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
এরই মধ্যে আরো হামলার আশঙ্কায় শ্রীলঙ্কায় উচ্চ সতর্কতা জারি করা রয়েছে। এর আগে পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা অন্যান্য কর্মকর্তাদের সতর্ক করেছিলেন, ‘রোববার অথবা সোমবার সামরিক বাহিনীর ছদ্মবেশে হামলা চালাতে পারে উগ্রপন্থীরা।’
তবে ওই দুই দিনে কোনো হামলা না হলেও দেশটির নিরাপত্তাকর্মীরা ইস্টার সানডেতে গির্জা ও হোটেলে বোমা হামলার পরই উগ্রপন্থীদের বিরুদ্ধে অভিযানে নামে।
পুলিশের গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলছেন, ‘পুলিশ এখনো সন্দেহভাজনদের ওপর নজরদারি করছে বলে আরো বেশ কিছুদিন এই অভিযান চলবে।’
স্থানীয় কর্মকর্তা ও শ্রীলঙ্কায় যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস দেশটিতে আরো জঙ্গি হামলার আশঙ্কা প্রকাশ করে বলছে, অনেক জঙ্গিই বিস্ফোরকজাতীয় দ্রব্য নিয়ে ঘুরছে।
এরই মধ্যে পরিচয় আড়ালকারী মুখ ঢাকা যেকোনো ধরনের পোশাক নিষিদ্ধ করেছে দেশটির সরকার।
যেকোনো ধরনের মুখের আবরণ, যা পরিচয় নিশ্চিত বাধাগ্রস্ত করে, জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে তা নিষিদ্ধ করা হবে বলে জানায় শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টের কার্যালয়। এতে মুসলিম নারীদের পরিধেয় নেকাব কিংবা বোরকার কথা আলাদা করে উল্লেখ করা হয়নি।
এদিকে দেশটির সরকার সামাজিক মাধ্যম ভাইবার, হোয়াটস অ্যাপ ও ফেসবুকের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে।
এ ছাড়া শ্রীলঙ্কায় সিরিজ বোমা হামলায় সন্দেহভাজন দুই ইসলামী সংগঠন ন্যাশনাল তৌহিদ জামাত (এনটিজে) ও জামায়াত ই মিল্লাতু ইব্রাহিম (জেএমআই)।
শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট মৈথ্রিপালা সিরিসেনা তাঁর বিশেষ ক্ষমতা প্রয়োগ করে এ দুই সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন।