ডেস্ক রিপোর্ট: সাতক্ষীরার উপকূলীয় অঞ্চল অতিক্রম করেছে ঘূর্ণিঝড় ফণী। শুক্রবার দিনগত রাত ২টা থেকে সাতক্ষীরায় ঝড় শুরু হয়। শনিবার সকাল ৬টার দিকে উপকূলীয় এলাকা অতিক্রম করে ফণী।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপকূলীয় এলাকার এক লাখ ৩১ হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়ার দাবি করা হয়েছে। ফলে ঘূর্ণিঝড় ফণী আঘাত হানলেও জেলার কোথাও এখন পর্যন্ত হতাহতের কোনো সংবাদ পাওয়া যায়নি।
এদিকে শনিবার সকাল থেকে আকাশ মেঘলা ও ঝড়ো হাওয়াসহ গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি পড়ছে। আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, এর চেয়ে বেশি ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই।
সাতক্ষীরা আবহাওয়া অধিদফতরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী জানান, শনিবার সকাল ৬টার দিকে সাতক্ষীরার উপকূলীয় অঞ্চল অতিক্রম করে ঘূর্ণিঝড় ফণী। ঝড়টি শেষের দিকে, তবে ঝড়ো হাওয়া চলবে। এছাড়া ৭ নম্বর সতর্কতা সংকেত বহাল রয়েছে।এদিকে প্রশাসনের নির্দেশে ঘূর্ণিঝড় ফণী’র প্রভাবে রাস্তায় ভেঙে পড়া গাছ ও গাছের ডালপালা দ্রুত সরিয়ে নেয়ায় কাজ করছে স্বেচ্ছাসেবকরা। তবে ঘূর্ণিঝড় শেষ হলেও সাধারণ মানুষের এখনো আতঙ্ক কাটেনি। এছাড়া গতকাল শুক্রবার রাত ১১টা থেকে সকাল ৯:৩০টা পর্যন্ত শহরে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ছিল। এখনও জেলার অধিকাংশ স্থানে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচিছন্ন আছে।