নিজস্ব প্রতিবেদক : সন্তান অদ্ভুতরোগে আক্রান্ত হওয়ায় স্ত্রীকে তালাক দিয়ে পালিয়েছে স্বামী সেলিম খাঁ। সেই সন্তান হাসানের বয়স এখন ১৮ মাস। দিন দিন বড় হয়ে যাচ্ছে তার মাথা। কিন্তু করার যেন কিছুই নেই মা শারমিন আক্তারের। স্বামী তালাক দেয়ার পর ঠাঁই হয়েছে তার অভাবী বাবার সংসারে। কি রোগে আক্রান্ত হাসান আজ পর্যন্ত সেটিও জানতে পারেননি শারমিন। দেখাতে পারেননি কোনো ডাক্তার। তবে এলাকার বিভিন্ন কবিরাজদের দেখিয়ে পানি পরা ও তাবিজ নিয়েছেন বহুবার, কিন্তু কোনো উপকারে আসেনি। এখন অসুস্থ ছেলে হাসানকে নিয়ে পথে পথে ঘুরছেন মা শারমিন আক্তার। অসহায় এ পরিবারটির বসবাস সাতক্ষীরা তালা উপজেলা তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের লাউতাড়া গ্রামে।
ওই গ্রামের রজব আলী খাঁ জানান, চার বছর আগে তালা সদরের আটারই গ্রামের মালেক খাঁর ছেলে সেলিম খাঁর সঙ্গে পারিবারিকভাবে মেয়ে শারমিন আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর সবকিছু ভালোই চলছিলো। ১৮ মাস আগে নাতি হাসান জন্মগ্রহণের পর কিছুদিন যেতে না যেতেই মাথা অস্বাভাবিকভাবে বড় হতে থাকে। এরপর জামাই মেয়েকে তালাক দিয়ে চয়ে যায়। সে এখন অন্যত্র বিয়ে করেছে।
হাসানের মা শারমিন আক্তার জানান, টাকার অভাবে হাসানকে কোনো ভালো ডাক্তার আজো দেখাতে পারিনি। তবে স্থানীয় ডাক্তার কবিরাজ দেখালেও কোনো কাজ হয়নি। স্থানীয় ডাক্তাররা শুধু বলে ঢাকায় নিয়ে চিকিৎসা করাও ভালো হয়ে যাবে। ঢাকায় যাওয়ার মতো সাধ্য আমাদের নেই। ভাঙাচোরা মাটির ঘরেই আমাদের বসবাস। ছেলেকে সুস্থ করতে আপনারা সম্ভব হলে একটু সহায়তা করুন। তঁতুলিয়া ইউনিয়নের স্থানীয় ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আলী মোড়ল বলেন, পরিবারটি খুব অসহায়। রজব আলী কৃষিকাজ করে সংসার চালায়। ভিটেবাড়ি ছাড়া বাকি কিছুই নেই তার। এদিকে, মেয়ের অসুস্থ ছেলে হাসানকে নিয়েও অসহায় হয়ে পড়েছে সে।
তবে অসুস্থ হাসানকে দেখে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা. মনোয়ার হোসেন বলেন, হাসানকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের নিউরো সার্জারি বিভাগে দেখাতে হবে। সেখানকার ডাক্তাররা ভালো পরামর্শ দিতে পারবেন। তবে হাসানকে সুস্থ করা সম্ভব।
পূর্ববর্তী পোস্ট