বিদেশের খবর: লিবিয়া উপকূলের পাশ্ববর্তী ভূমধ্যসাগর থেকে ২৯০ অভিবাসীকে উদ্ধার করেছে দেশটির কোস্টগার্ড। উদ্ধারকৃতদের মধ্যে ১৪ জন বাংলাদেশি রয়েছেন বলে জানা গেছে। বার্তা সংস্থা এপি এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
শুক্রবার লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলির পূর্ব উপকূলে দুটি পৃথক অভিযান চালিয়ে তাঁদের উদ্ধার করা হয়। লিবিয়ার নৌবাহিনীর একজন মুখপাত্র ২৯০ জন অভিবাসী উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ভাগ্য ফেরাতে ইতালির উদ্দেশ্যে যাত্রা করা অভিবাসীরা মূলত লিবিয়ার পশ্চিম উপকূল দিয়ে ইউরোপে যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়ে থাকেন।
ভূমধ্যসাগর থেকে অভিবাসী প্রত্যাশীদের উদ্ধার করা নতুন কোনো ঘটনা নয় উল্লেখ করে নৌবাহিনীর মুখপাত্র আয়ুব কাসেম বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, মধ্যস্থতাকারীরাই মূলত এদের জীবন জিম্মি করে সমূদ্রে ভাসিয়ে দেয়।
তিনি বলেন, এবার ত্রিপোলি থেকে ৫০ কিলোমিটার পূর্বের শহর কারাবুলি উপকূলে অভিযান চালিয়ে রাবারের নৌকা থেকে ৮৭ অভিবাসীকে উদ্ধার করা হয়। ত্রিপোলি থেকে ১৬০ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত জ্লিতিন শহরের উপকূল থেকে আরেক অভিযানে দুটি রাবারের নৌকা থেকে ২০৩ জন অভিবাসীকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃতদের মধ্যে ৭ জন নারী ও এক শিশুর উপস্থিতি নিশ্চিত করেছে রয়টার্স।
আয়ুব কাসেম বলেন, ‘অবৈধ অভিবাসীরা জরাজীর্ণ ও ভাঙাচোরা নৌকায় ভাসমান ছিলেন। খবর পেয়ে কোস্টগার্ডের সদস্যরা তাঁদের দুটি পৃথক নৌকা থেকে উদ্ধার করে।’ পরে তাদের অবৈধ অভিবাসন বিরোধী বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
ওয়াশিংটনের পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, এর আগে গত বৃহস্পতিবার জার্মানির একটি দাতব্য সংস্থা লিবিয়ার নৌবাহিনীকে ভূমধ্যসাগরে তিনটি নৌকা ডুবে যাওয়ার খবর জানায়। উদ্ধারকৃতদের মধ্যে বেশির ভাগই আরব ও আফ্রিকার দেশগুলোর নাগরিক।