নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার কুমারখালির পাশ দিয়ে প্রবাহিত গুতিয়াখালি নদীর উপর নির্মিত ব্রীজটি এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। আজ থেকে ১৫ বছর আগে ৯৬টি সিল্পার দিয়ে নির্মিত ব্রীজটির ৪৮টি বর্তমানে ভেঙে গেছে। অবিলম্বে এ ব্রীজটি মেরামত করা না গেলে শিক্ষার্থী, চাকুরিজীবী ও ব্যবসায়ীদের দূঃখের সীমা থাকবে না।
চম্পাফুল ইউপি’র সাবেক সদস্য ভুপেন্দ্রনাথ মণ্ডল জানান, উজিরপুর ত্রিমোহিনীতে খেয়া পারাপার বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর যাতায়াতের সুবিধার্থে গুতিয়াখালি নদীর কুমারখালিতে জেলা পরিষদের উদ্যোগে একটি ব্রীজ নির্মাণ করা হয় আনুমানিক ১৫ বছর আগে। তিন বছর আগে থেকে ব্রীজের এক একটি সিল্পার ভাঙতে শুরু করে। বর্তমানে ৯৬টি স্লিপারের মধ্যে ৪৮ টি নষ্ট হয়ে ব্যবহার অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে ।গত বছর আরসিসি ঢালাই এর মাধ্যমে গুতিয়াখালি নদীর উপর একটি ব্রীজ নির্মাণ করার চেষ্টা হলে নদী বাঁচিয়ে রাখা ও এলাকার চিংড়ি চাষীদের সুবিধার্থে আন্দোলনের মাধ্যমে তা বন্ধ হয়ে যায়। ফলে কুমারখালি ব্রীজটি থালনা, গোবিন্দকাটি, বাঁশদহা, নবীননগর, বিষ্ণুপুর, বাঁশতলা ও কুমারখালির সঙ্গে উজিরপুর, কালিবাড়ি, হাড়িভাঙা, নাটানা, বালাপোতা ও আশাশুনি সদরের একমাত্র যোগাযোগ মাধ্যম হয়ে দাঁড়ায়। এসব গ্রামের শিক্ষার্থী, সরকারি চাকুরিজীবী, ঘের ব্যবসায়িরা ওই ব্রীজকে ব্যবহার করে থাকে। ব্রীজটি খারাপ হয়ে যাওয়ায় দুর্ঘটনা হয়েছে কয়েকবার। স্থানীয়ভাবে ব্রীজটি মেরামত করা হয়েছে কয়েকবার। বিষয়টি জেলা পরিষদকে জানিয়েও কোন সুরহা হয়নি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী ছাদিকুর রহমান বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর ব্রীজটি সরেজমিনে দেখে আসার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে ঈদের পরপরই ব্রীজটি সংস্কার করা হবে।
কালিগঞ্জের গুতিয়াখালি নদীর উপর কুমারখালি ব্রীজটি মরণ ফাঁদ
পূর্ববর্তী পোস্ট