শ্যামনগর প্রতিনিধি : শ্যামনগরে বাবার কথায় বিয়েতে রাজি না হয়ে আত্নহত্যায় পথ বেছেনিল এক কিশোরী। সে উপজেলা ঈশ্বরীপুর ইউনিয়নের শ্রীপলকাটি গ্রামের নজরুল গাজীর কন্যা। সে ৭ম শ্রেণিতে লেখাপড়া করতো। বুধবার দুপুর একটার সময় ঘরের মধ্যে থেকে গলায় ওড়না দিয়ে পেচানো অবস্থায় ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে উদ্ধার করে শ্যামনর থানা পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তাসলিমার মা গত তিন বছর আগে ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করে। তার পিতা নজরুল গাজী পরবর্তীতে দ্বিতীয় বিয়ে করে। তার সৎ মা বিভিন্ন সময় তাকে নির্যাতন করে থাকে, যে কারণে তাসলিমা খাতুনকে তাড়াতাড়ি বিয়ে দেয়ার জন্য তার পিতা চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। একপর্যায়ে তার পরিবার থেকে চাপ ও নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে নিজে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়।আত্মহত্যার পূর্বে যে ঘরে আত্মহত্যা করে সেই ঘরের দেয়ালের গায়ে তাসলিমা নিজে হাতে লিখে আমার বাবা-মা খারাপ আমার বাবা-মা আমাকে অনেক কষ্ট দিয়েছে তাই আমি জীবন দিয়েছি। তার আত্মহত্যার জন্য পিতা-মাতাকে দায়ী করে। তাসলিমার পিতা নজরুল এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি প্রতিদিনের ন্যায় সকাল সাড়ে নয়টার দিকে কাজ করতে বেরিয়ে যায় মেয়েকে বাসায় রেখে। দুপুর 1 টার সময় বাসায় এসে মেয়েকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখি। দেখে স্থানীয় লোকজন সহ জনপ্রতিনিধিদের খবর দেয়। দেওয়ালে লেখার বিষয়টা জানতে চাইলে তিনি বলেন এটা আমার মেয়ের হাতের লেখা সেটা লিখে গিয়েছে মৃত্যুর আগে।এ বিষয়ে শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ হাবিল হোসেন বলেন আমরা শোনামাত্রই ঝুলন্ত অবস্থায় লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সাতক্ষীরা মর্গে পাঠিয়েছে। যারা তাসলিমাকে আত্মহত্যার করা।