নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ সাতক্ষীরা শহরের ইটাগাছা ঘোষপাড়ায় সংগ্রাম টাওয়ারের সামনে লক্ষণ ঘোষের জায়গা দখল করে অবৈধ নির্মাণ কাজ অব্যহত রয়েছে। প্রতিবাদ করায় জবরদখলকারি আব্দুল মজিদ ও তার পক্ষের লোকজন লক্ষণ ঘোষ ও তার পরিবারের সদস্যদের দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছে।
জেলা মন্দির সমিতির সভাপতি বিশ্বনাথ ঘোষ জানান, সড়ক ও জনপথ বিভাগ ১৯৬৫ সালে ইটাগাছা ঘোষপাড়ার কার্তিক ঘোষের প্রায় দেড় শতক জমি অধিগ্রহণ করে। কালিগঞ্জ- সাতক্ষীরা সড়ক তৈরির পর অব্যবহৃত জমি কার্তিক ঘোষের ছেলে লক্ষন ঘোষসহ পাঁচ ভাই দখলে ছিলেন। ওই জমি সংলগ্ন কার্তিক ঘোষের ছেলেদের বসতভিটা রয়েছে।
তিনি আরো জানান, প্রায় ১০ বছর আগে সিএণ্ডবি এর কর্মচারি রওশান আলীর ছেলে আব্দুল মজিদ মাথা গোঁজার ঠাঁই এর জন্য কার্তিক ঘোষের বড় ছেলে দীলিপ ঘোষের শরনাপন্ন হন। মানবিক কারণে তিনি ১০ বর্গফুট জায়গা দিয়ে সেখানে কোন রকমে বসবাস করতে বলেন। জায়গদা পেয়েই আব্দুল মজিদ ক্রমশঃ বেশি জায়গা দখল করতে থাকেন। দখলে নিতে থাকেন লক্ষণ ঘোষের জায়গাও। শুক্রবার সকাল থেকে মজিদ ও তার লোকজন জোর করে লক্টষণ ঘোষের জায়গায় ঘর বানিয়ে টিনের চাল দেওয়া শুরু করেন। বাধা দেওয়ায় লক্ষণ ঘোষ ও তার পরিবারের সদস্যদের দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। তিনি নিজেকে আওয়ামী লীগ কর্মী দাবি করে বলেন, বেশি বাড়াবাড়ি করলে এখানে বাস করা মুশকিল হয়ে যাবে। বাধ্য হয়ে লক্ষণ ঘোষ শনিবার দুপুরে সাতক্ষীরা সদর থানায় অভিযোগ করেন। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান উপপরিদর্শক রফিকুল ইসলামকে নির্দেশ দেন। এরপরও শনিবার বিকেল ৬টা পর্যন্ত মজিদ চালিয়ে যাচ্ছিলেন তার অবৈধ নির্মাণ কাজ।
জানতে চাইলে আব্দুল মজিদ বলেন, তার প্রয়োজন তাই ঘর করছেন। এ জন্য কোন কাগজপত্র লাগবে কেন?
সাতক্ষীরা সদর থানার উপপরিদর্শক রফিকুল ইসলাম বলেন, বিশেষ কাজে ব্যস্ত থাকায় তিনি ঘটনাস্থলে যেতে পারেননি। সন্ধার পর অবশ্যই যেয়ে কাজ বন্ধ করে দিয়ে উভয়পক্ষকে থানায় ডাকাবেন ।
ইটাগাছায় জমি জবরদখল করে চলছে ভবন নির্মানের কাজ
পূর্ববর্তী পোস্ট