শ্যামনগর প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণের সুন্দরবন উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা। বাংলাদেশের অধিকাংশ সাদা সোনা খ্যাত বাগদা চিংড়ি দেশের বাহিরে রপ্তানি করা হয় দক্ষিণ অঞ্চল থেকেই । দেশের উন্নত খাতে চিংড়ি মাছের গুরুত্ব অপরিসীম সেই পণ্য কে ধ্বংস করছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। পহেলা অক্টোবর ২০১৯ মঙ্গলবার শ্যামনগরের বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়ন কলবাড়ি মৎস সেটে প্রকাশ্যে বাগদা চিংড়ি পুশের রমরমা ব্যবসা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন বাগদা চিংড়ি উৎপাদনকারী ঘের মালিক গান। উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের কলবাড়ি মাছের সেটে প্রতিনিয়ত অবৈধভাবে বাগদা চিংড়ি পুশ করে চিংড়ি শিল্পকে ধ্বংস করে দেয়ার পায়তারা চালাচ্ছে কিছু কুচক্রী ব্যবসায়ী মহল। বাগদা চিংড়িতে বিভিন্ন অপদ্রব্য (চাউলের গুড়া, ময়দা, আটা, সাবু,) জ্বালিয়ে পানির মত করে রমরমা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শ্যামনগর মানবাধিকার কর্মীদের সরজমিনে, পরিদর্শন করে জানায় কলবাড়ি বাজারে মৎসেট থেকে মঙ্গলবার সকাল আনুমানিক দশটায় কলবাড়ি গ্রামের কাওসার সরদারের ছেলে আব্দুর রহমান(৩৮), ফজলুল গাজীর ছেলে আব্দুল আলিম (৩৫), আবার চন্ডিপুর গ্রামের হরিপদর ছেলে নিপু মন্ডল(৩০) কে হাতেনাতে ধরে ফেলে। বিষয়টি স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানো হলে তিনি মৎস্য অফিসার কে জানাতে বলেন, মৎস্য অফিসার মুন্সীগঞ্জের রেপ ক্যাম্পে জানাতে বললে। তারা বলেন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কে না জানিয়ে আমরা অভিযান যাব না। সাধারণের অসাধু ব্যবসায়ীদের কে দ্রুত প্রতিহত না করতে পারলে ভবিষ্যতে দক্ষিণাঞ্চলের চিংড়ি শিল্পকে অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে। স্থানীয় শুধু মহলের দাবি উপজেলা প্রশাসনের এবং মৎস্য অধিদপ্তরের বিভিন্ন কর্মকর্তাগন বিভিন্ন সময়ে সতর্ক করলেও কেউ তা মানেন না। অবৈধ ব্যবসায়ীরা নাকি প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই এই অপকর্ম চালাচ্ছে। দ্রুত প্রশাসনিক পদক্ষেপ নিয়ে চিংড়ির মধ্যে অবৈধ পুশকারী ব্যবসায়ীদের শাস্তির আওতায় আনতে প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী চিংড়ি উৎপাদনকারীরা।
শ্যামনগরে বাগদা চিংড়ীতে অপদ্রব্য পুশের অভিযোগ
পূর্ববর্তী পোস্ট