ভিন্ন স্বাদের খবর: জাতীয় পশু বাঘ হওয়ার কারণে ভারতে সন্ত্রাসবাদ বেড়ে চলেছে। তাই বাঘ সরিয়ে গরুকে জাতীয় পশু ঘোষণা করা হলে এ সমস্যার সমাধান হবে বলে দাবি করেছেন উদুপির পেজাওয়ার মঠের বিশ্বেসতীর্থ স্বামীজি। রামদেবের উদ্যোগে উদুপিতে অনুষ্ঠিত ‘সন্ত সমাগম’ অনুষ্ঠানে এসে এই মন্তব্য করেন বিশ্বেসতীর্থ। তার বক্তব্য, গরুকে যদি জাতীয় পশু হিসেবে গ্রহণ করা হয়, তাহলে দেশে আর কোনও সন্ত্রাসবাদী জন্মাবে না। তিনি জানিয়েছেন, গঙ্গা নদীকে পরিষ্কার করার কাজ আটকে রয়েছে বহুদিন ধরে। সে বিষয়ে তৎপর হওয়া উচিত মানুষের। এছাড়াও অভিন্ন দেওয়ানি বিধি এবং জনসংখ্যা কমানোর বিষয়েও জোর দিতে বলেছেন তিনি। তবে গরুকে জাতীয় পশু করার দাবি যে এই প্রথমবার উঠল, সেটা নয়। গত বছর হিমাচল প্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ড বিধানসভায় রেজোলিউশন পাশ করা হয়েছিল এই বিষয়ে। দুই রাজ্যের তরফে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদন জানানো হয়েছিল, গরুকে জাতীয় পশু করার জন্য। ২০১৭ সালে রাজস্থান হাইকোর্টের একজন বিচারকও সুপারিশ করেছিলেন গরুকে ভারতের জাতীয় পশু করার জন্য। এর পাশাপাশি তিনি জানিয়েছিলেন, গোহত্যার মতো অপরাধের শাস্তি হওয়া উচিত যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।
উদুপির এই অনুষ্ঠানে গোহত্যার বিরুদ্ধে সওয়াল তোলেন রামদেবও। এই অপরাধের কঠিন শাস্তি দাবি করার পাশাপাশি তিনি জানান, বাবর, হুমায়ূন এবং আকবরের শাসনকালে গোহত্যা নিষিদ্ধ ছিল ভারতে। তিনি আরও দাবি করেন, গোমাংস ভক্ষণই বিশ্ব উষ্ণায়ণের কারণ। আমিষাশীদের তিনি উপদেশ দিয়েছেন, কুকুর, বেড়াল, মুরগি, ছাগল যে কোনও মাংস খেতে, কিন্তু গরুর মাংস না খেতে।