অপ্রতিম: কয়েক দিনের ব্যবধানে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় পেঁয়াজের আমদানি বেড়েছে কয়েক গুণ। আর এ কারণে পেঁয়াজের দাম কমে পাইকারিতে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮ থেকে ১০ টাকায়।
বন্দরের আড়তদাররা বলেন, এক সপ্তাহ আগেও মানভেদে পাইকারি হিসাবে ১৪-১৭ টাকা কেজিতে পেঁয়াজ বিক্রি করা হয়েছে। কিন্তু এখন আমদানি বেড়ে যাওয়ায় ভারতীয় পেঁয়াজ মানভেদে ৮ থেকে ১০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। তবে খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকায়। ভারতীয় পেঁয়াজও খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকার ওপরে।
বন্দরের কয়েকটি আড়ত ঘুরে দেখা গেছে, ভারতের নাসিক, ভেলোর, ইন্দোর, রাজস্থান, পাটনা থেকে ছোট, মাঝারি ও বড় আকারের পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে। গুদামগুলো পেঁয়াজে ঠাসা। এখান থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানের পাইকাররা ৮ থেকে ১০ টাকা কেজিতে পেঁয়াজ কিনছেন। একটু ভালো মানের পেঁয়াজ কেনা হচ্ছে কেজিতে ১১ টাকায়।
বন্দরের বেসরকারি অপারেটর পানামা হিলি পোর্ট লিংক সূত্রে জানা গেছে, গত ১ থেকে ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই বন্দর দিয়ে ৬৮০টি পেঁয়াজবোঝাই ট্রাক দেশে এসেছে। এতে পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে প্রায় ১৩ হাজার টন।
হিলি বন্দরের গত তিন মাসের হিসাব পর্যালোচনা করে দেখা যায়, আগস্টে এক হাজার ৭৫৮টি ট্রাকে ৩৬ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে। আর জুলাইয়ে এক হাজার ৩০৪টি ট্রাকে ২৫ হাজার ৭০৫ টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে।
ব্যবসায়ীরা বলেন, ঈদুল আজহা উপলক্ষে বন্দরের ৩০ ব্যবসায়ী বেশি করে পেঁয়াজ আমদানি করেছেন। এখন বন্দরে সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় দাম অনেক কমে গেছে। আর সময়মতো বাজারজাত করতে না পারায় এরই মধ্যে পেঁয়াজে পচন ধরেছে। এতে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের।
হিলির স্থানীয় আমদানিকারক এনামুল হক চৌধুরী ও মমিনুল ইসলাম মমিন বলেন, ভারত থেকে এক কেজি পেঁয়াজ আমদানি করতে খরচ হয় ১৩ থেকে ১৪ টাকা। এই পেঁয়াজ পাইকারি দরে বিক্রি করতে হচ্ছে ৮ থেকে ১০ টাকায়। কেজিতে পাঁচ থেকে ছয় টাকা লোকসানে বিক্রি করতে হচ্ছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে পথে বসা ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না।
হিলি বাজারের আড়তদার শাহাবুল ইসলাম জানান, ভারতীয় পেঁয়াজের দাম কমে বর্তমানে ৮ থেকে ১০ টাকায় নেমেছে। আবার কখনো আরো কম দামে কিনছেন ক্রেতারা। গত কয়েক দিনে ভারত থেকে প্রচুর পরিমাণে পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। ৮ থেকে ১০ দিন আগেও এই পেঁয়াজ ১৪ থেকে ১৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে।