নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকে শুক্রবার সারাদিন ধরে থেকে থেকে ঝরছে বৃষ্টি, বাড়ছে শীতের তীব্রতা। আর এতে অসহায় মানুষের জীবনে চরম দুর্ভোগ নেমে এসেছে। বিশেষ করে উপকূরীয় বেড়িবাঁধের উপর আশ্রয় নেয়া ভূমিহীন, নিঃস্ব পরিবারগুলোতে অভিশাপ হয়ে দেখা দিয়েছে তীব্র শীতের সাথে ধারাবাহিক বৃষ্টি। আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুসারে জেলার আকাশ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যারাত থেকেই মেঘলা ছিল। সন্ধ্যায় ছিটেফোঁটা বৃষ্টিও হয়। আর মধ্যরাত থেকেই হালকা মাঝারি ধরনের বৃষ্টি শুরু হয়। শুক্রবার ভোর থেকে থেমে থেমে বাড়ে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ। এতে তাপমাত্রা কমে শীত বেড়েছে।
শুক্রবার ছুটির দিন হলেও বিপাকে পড়েছেন বাইরে কাজে বের হওয়া নাগরিকরা। শীতের বৃষ্টিতে অপ্রস্তুত থাকায় চরম বিরম্বনার পাশাপাশি শীত বেড়ে যাওয়ায় দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন তারা।
সকাল ১০টার দিকে সাতক্ষীরায় তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও বৃষ্টির কারণে তাপমাত্রা কমতে শুরু করে এবং আকাশ মেঘাচ্ছন্ন আছে। বাড়ির বাইরে মানুষের উপস্থিতিও বেশ কম। জরুরি প্রয়োজনে ছাতা মাথায় অনেককে যাতায়াত করতে দেখা গেছে। জেলার বিভিন্ন এলাকায় এমন পরিস্থিতির খবর পাওয়া গেছে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, আগামী ৩, ৪ ও ৫ জানুয়ারি সারাদেশে বৃষ্টি শুরু হবে এবং তাপমাত্রা কমতে থাকবে। গ্রামাঞ্চলে শীতের তীব্রতা বেশি অনুভূত হবে।
তিনি জানিয়েছেন, ৩ জানুয়ারির পর থেকে দেশের তাপমাত্রা কমতে থাকবে। ৬ জানুয়ারি থেকে ১০ জানুয়ারির মধ্যে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাবে। মাসের মাঝামাঝিতে জেঁকে বসতে পারে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ।
মাসের শেষদিকে আবারও তীব্র শৈত্রপ্রবাহ বয়ে যাওযার সম্ভাবনা রয়েছে। এসময় দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় কনকনে শীত অনুভূত হতে পারে। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে শীতের প্রভাব বেশি থাকবে।
পূর্ববর্তী পোস্ট