নিজস্ব প্রতিনিধি : অটিজম শিশুর বিকাশজনিত একটি সমস্যা। যুক্তরাষ্ট্রের অটিজম সোসাইটির পরিসংখ্যান অনুযায়ী সরা বিশ্বে মোট জনসংখ্যার প্রায় এক শতাংশ মানুষ অটিস্টিক।বাংলাদেশে প্রতি ১০ হাজারে ১৭ জন বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন বা অটিজম আক্রান্ত মানুষ রয়েছেন।এই অটিজম আক্রান্তদের চিকিৎসায় সর্বাধুনিক গবেষণা এবং উন্নয়ন নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি অটিস্টিক শিশুদের শিক্ষাদান পদ্ধতিতে আধুনিক গবেষণা এবং উন্নত ব্যবস্থাপনা নিয়ে কাজ করার লক্ষ্যে ইন্ডিয়া অটিজম সেন্টার প্রতিবছর ‘আন্তর্জাতিক অটিজম কনফারেন্স’ এর আয়োজন করে থাকে। এবছরও ‘আন্তর্জাতিক অটিজম কনফারেন্স -২০২০’ এর আয়োজন করেছে ইন্ডিয়া অটিজম সেন্টার। গত ১০-১২ ই জানুয়ারি কলকতার ইমিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত তিনদিন ব্যাপী এ কনফারেন্সে প্রথববারের মতো অংশগ্রহণ করেছে ‘ইন্টারনেশনাল ফেডারেশন ফর মেডিকেল স্টুডেন্টস এসোসিয়েশন – বাংলাদেশ’(আইএফএমএসএ বাংলাদেশ’) এর একটি দল।
সেই দলে ছিলেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস ৫ম বর্ষের শিক্ষার্থী সাতক্ষীরার শিশু হাসপাতালের প্রয়াত চিকিৎসক মোস্তফা নূর মোহাম্মেদের ছেলে ও কালিগঞ্জ ডিগ্রী কলেজের প্রয়াত অধ্যক্ষ তমিজউদ্দিনের দৌহিত্র মোস্তফা আরাফাত ইসলাম, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস ৫ম বর্ষের শিক্ষার্থী আলভী আহসান, মুমতাহিনা ফাতিমা, রাইসা নাওয়াল এবং । এই কনফারেন্সে বেশকিছু ইভেন্টের আয়োজন করা হয়। এর মধ্যে একটি ছিলো অটিজম বিষয়ক গবেষনামূলক পোস্টার প্রদর্শনী। আর এই পোস্টার প্রদর্শনীতেই মূলত ‘আইএফএমএসএ বাংলাদেশ’ এর দলটি অংশগ্রহণ করে। অটিজম বিষয়ে গবেষণামূলক পোস্টার প্রদর্শনীর এই ইভেন্টে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে বাইশটি দল মনোনয়ন পেয়ে অংশগ্রহণ করে।গবেষণা পেপার জমা দিয়ে মনোনয়ন পাওয়ার পর ‘আইএফএমএসএ বাংলাদেশ’ এর দলটিও ‘নলেজ অফ অটিজম স্পেক্ট্রাম ডিজর্ডার এমোং সেকেন্ড – ফোর্থ ফেইজ এমবিবিএস স্টুডেন্টস অফ বাংলাদেশ’ বিষয় নির্ধারণ করে একটি পোস্টার জমা দেয় ইন্ডিয়া অটিজম সেন্টারে। আর এতেই বিচারকদের রায়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে অংশগ্রহণ করা দলগুলোকে পেছনে ফেলে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করে তারা। বিজয়ী দল হিসেবে তাদের পুরষ্কাররস্বরূপ ১০ হাজার রুপী এবং সম্মাননা স্বারক প্রদান করা হয়।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস পঞ্চম বর্ষের শীক্ষার্থী মোস্তফা আরাফাত ইসলাম বলেন “এরকম একটা ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্সে দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে পারা অনেক বড় ব্যাপার। অটিজম নিয়ে গবেষণা করে যারা বিশ্বখ্যাত হয়েছেন তাদের কাছ থেকে দেখতে পারা আমাদের অভিজ্ঞতার ঝুলিকে সমৃদ্ধ করবে বলে আশা করি। আর পোস্টার কম্পিটিশনে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন অনেকটা স্বপ্নের মতো।এই অর্জন আমদেরকে এগিয়ে যেতে অনুপ্রাণিত করবে।”।
আন্তর্জাতিক অটিজম কনফারেন্সে সাতক্ষীরাসহ বাংলাদেশী শিক্ষার্থীর শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন
পূর্ববর্তী পোস্ট