নিজস্ব প্রতিনিধি : ডিবি পুলিশ পরিচয়ে এক ভাড়ায় চালিত মোটর সাইকেল চালক ও এক ভ্যান চালককে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার রাত সাড়ে সাতটার দিকে সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের চাঁচাই ও হোগলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। তবে বুধবার দুপুর দু’ টো পর্যন্ত ডিবি পুলিশের কার্যালয়সহ প্রশাসনের কোন দপ্তরে তাদের কোন সন্ধান পাননি স্বজনরা।
সন্ধান না মেলা ব্যক্তিরা হলেন, কালিগঞ্জ উপজেলার চাঁচাই গ্রামের ওয়াজেদ সানার ছেলে ভাড়ায় চালিত মোটর সাইকেল চালক মোকছেদ সানা (৬২) ও হোগলা গ্রামের শাখাওয়াত মোল্লার ছেলে ভ্যান চালক মোঃ খোরশেদ মোল্লা (৫২)।
চাঁচাই গ্রামের ফরিদা খাতুন জানান, মঙ্গলবার রাত সাতটার দিকে তাদের বাড়ির সামনে সাদা রঙ এর একটি মাইক্রোবাস আসে। গাড়ি থেকে সাদা পোশাকের কয়েকজন নেমে নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে স্বামী মোকছেদ কোথায় জানতে চায়। তিনি বাড়িতে না থাকার কথা বললে তারা চলে যায়। রাত সাড়ে সাতটার দিকে মোকছেদ পার্শ্ববর্তী হোগলা গ্রামের ভ্যান চালক খোরশেদ মোল্লার বাড়িতে অবস্থানকালে তাকে একই মাইক্রোবাসে থাকা ডিবি পুলিশ পরিচয়দানকারি লোকজন মোকছেদকে ধরে নিয়ে যায়। একইসাথে খোরশেদকেও ধরে নিয়ে যায় তারা। তবে মাইক্রোবাসে তারা চাঁচাই গ্রামের জিয়াদ আলী গাজীর জামাতা শ্যামনগরের পুলিশের দালাল সুন্দরবনে বিজিবি’র সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে গুলিবিদ্ধ সেলিম হোসেনকে (৪৮) দেখতে পায়।
ফরিদা খাতুন ও খাদিজা খাতুন জানান, মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের কার্যালয়, ডিবি পুলিশের কার্যালয়, কালিগঞ্জ থানা, সাতক্ষীরা র্যাব-৬ এর শাখাসহ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে খুঁজে পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় তারা গভীর উৎকণ্ঠায় রয়েছেন।
জানতে চাইলে সাতক্ষীরা ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মহিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, এ ধরনের আটকের কোন খবর তাদের জানা নেই।
কালিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দেলোয়ার হুসেন জানান, এ ধরণের আটকের কোন খবর তাদের জানা নেই।
র্যাব- ৬ এর সাতক্ষীরা শাখার কমান্ডিং অফিসার(এএসপি) শাহীনুর ইসলাম বলেন, তারা এ সম্পর্কে কিছু জানেন না।
পূর্ববর্তী পোস্ট