ন্যাশনাল ডেস্ক: জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনের মুক্তিযুদ্ধকালীন ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। তিনি বলেছেন, একাত্তরে ড. কামাল হোসেনের অবস্থান ছিল ‘রহস্যজনক’।
সোমবার জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী এই দাবি করেন।
বাংলাদেশ সমৃদ্ধি দিকে যাচ্ছে এটি ড. কামালের পরিবার মেনে নিতে পারছে না মন্তব্য করে মোজাম্মেল হক বলেন, তার এক মেয়ের জামাতা আছেন ইহুদি, তিনিও সব সময় বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বিষোদগার করে আসছেন, তা নিশ্চয়ই জাতি জানে।
ড. কামালের সমালোচনা করে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী বলেন, পরিবারটি বোধ হয়, বাংলাদেশের অভ্যুদয়কে যেহেতু মানার ব্যাপারে তাদের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ ছিল, আজকে সেগুলো পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে, কী ছিল সে সময়কার ভূমিকা।
শনিবার ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে ড. কামাল সরকারের পদত্যাগ দাবি করেন। এর সমালোচনা করে মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী সংসদে বলেন, একজন নাগরিক হিসেবে সরকারের পদত্যাগ দাবি যে কেউ করতে পারেন। কিন্তু কামাল হোসেন যে ভাষায় কথা বলেছেন, যেসব শব্দ ব্যবহার করেছেন, তা আমরা আশা করিনি।
প্রবীণ এই আইনজীবীর বক্তব্যে হতবাক ও বিস্মিত হয়েছেন উল্লেখ করে মোজাম্মেল হক বলেন, অনেকে তাকে বলেন সংবিধান প্রণেতা। বাস্তবতা যা–ই হোক, তিনি আইনমন্ত্রী থাকাকালে সংবিধান প্রণীত হয়েছিল। তিনি সেই কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন। নিঃসন্দেহে সেই কৃতিত্বের অধিকারী তিনি হতেই পারেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় তাঁর অবস্থান রহস্যজনক ছিল। যা–ই হোক, আমরা সেই কথা বলতে চাই না।
উল্লেখ্য, শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কারাবাসের দুই বছর ও তার মুক্তির দাবিতে এক প্রতিবাদ সভায় ড. কামাল হোসেন বলেন, এখন যারা আছে, তাদের লাথি মেরে দেশ থেকে বের করে দিতে হবে। পদত্যাগ পদত্যাগ বললে হবে না। পদত্যাগ না করলে তাদের হাত ধরে টেনে রাস্তায় নামিয়ে দিতে হবে। সত্যিকার অর্থে আমাদের দেশের মালিকের ভূমিকায় আসতে হবে।