নিজস্ব প্রতিনিধি: ভারত থেকে ভোমরা বন্দর দিয়ে গণহারে প্রতিদিন আসা বাংলাদেশীদের নিয়ে আতংকিত হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষ। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে দেশের সকল বন্দরের আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এমনকি বৈধ পাসপোর্টে বাংলাদেশে আসা ভারতীয় নাগরিকদেরও ভারতে প্রবেশের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। অথচ ভোমরাস্থল বন্দর দিয়ে প্রতিদিনই শত শত পাসপোর্টের যাত্রীরা বাংলাদেশে প্রবেশ করছে।
এক দিকে করোনা সারা বিশে^ মহামারি আকার ধারণ করেছে। ইতোমধ্যে বিশে^র ১৯২ টি দেশে যার প্রভাব ছড়িয়ে পড়েছে। এই মহামারির হাত থেকে দেশের মানুষকে রক্ষা করতে সরকার নানামুখি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। বিশেষ করে দেশবাসীকে সারাক্ষণ ঘরে থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন। কিন্তু ভোমরা স্থল বন্দর প্রতিদিন গণহারে আসা পাসপোর্ট যাত্রীদের এলাকায় ফিরে উদোম চলাফেরার কারণে অস্তির হয়ে পড়েছেন সাতক্ষীরার মানুষ।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে গত কয়েক দিন ধরে প্রায় প্রতিদিনই ৯০ থেকে ৮০ জন পাসপোর্টে দেশে প্রবেশ করছেন। এদের মধ্যে তালার বিল্লাল, শ্যামনগরের আজিজুর, হাফিজুর, আটুলিয়ার হালিমা, মিজানুর, রাহা পারভীন, হাফিজা, রফিকুল,নওয়াবেকীর বাবু মোড়ল, আছমা, সুমাইয়া, খাজরাদানার আরশাদ, আশাশুনির পুরহিতপুরের মনিরুল, জয়াখালী গ্রামের নুরজাহান, মিরাজ। এছাড়াও গত ২১মার্চ ভারত থেকে এসেছে ৫৯১ জন, ২২ মার্চ ২৬ জন, ২৩ মার্চ ৫৪১ জন, ২৪ মার্চ ৯৪ জন, ২৫ মার্চ ২৬ জন ও ২৬ মার্চ ৪৯ জন।
অথচ পাসপোর্টের কোন যাত্রীকেই ভারত গ্রহণ করছে না। কিন্তু প্রতিদিনই বাংলাদেশে বৈধভাবে শত শত যাত্রীরা আসলেও তাদের কোন কোয়ারেন্টইন করা হচ্ছে না বা পরীক্ষা করা হচ্ছে না। বিশেষ করে সাতক্ষীরার নি¤œ অঞ্চলের বহু মানুষ অবৈধভাবে ভারতে গিয়ে বিভিন্ন কাজ করে। করোনা ভাইরাসের কারণে ভারত তাদের চিহ্নিত করে দেশে পাঠিয়ে দিচ্ছে। বৈধ পাসপোর্টধারীদের কিছুটা চিহ্নিত করা গেলেও এসব অবৈধ ভাবে যাতায়াতকারীদের কোন ভাবেই চিহ্নিত করা যাচ্ছে। আবার তারা এলাকায় ফিরে বাড়িতে না থেকে প্রকাশ্যে হাট-বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়াচ্ছে। যা এক প্রকাশ অস্তিরতা সৃষ্টি করেছে।
এবিষয়ে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল বলেন, এবিষয়ে আমি খবর পেয়েছি। আজ শনিবার সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের সাথে আমার কথা হয়েছে। সেখানে পুলিশ থাকবে এবং যারা আসছে তাদের কোয়ারেন্টইন করা হবে।