বিদেশের খবর: সারা বিশ্ব জুড়ে চলছে করোনা আতঙ্ক। এরই মধ্যে জার্মানীর ২ লাখ ফেইস মাস্ক চুরির অভিযোগ উঠেছে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে। এই মাস্ক চুরির বিষয়টিকে বলা হচ্ছে আধুনিক দস্যুতা।
বার্লিনের আঞ্চলিক সরকার জানান, যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি মাস্কগুলোর চালান ব্যাংককে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। বার্লিন এর পুলিশ ফোর্স এফএফপি২ নামের যে মাস্কগুলোর অর্ডার করেছিল তা তাদের গন্তব্যে পৌঁছাইনি। এ বিষয়ে জার্মানীর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলছেন, মাস্কগুলো যুক্তরাষ্ট্রে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। জার্মানীর এক গণমাধ্যমের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রের এক কম্পানি থেকে চীনে বানানো ওই মাস্কগুলো কিনেছিল জার্মানি। এ নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলছেন মানুষের চাহিদা অনুযায়ী তাদের দেশে মাস্ক তৈরি করা হচ্ছে, বরং মানুষের চাহিদার চেয়ে বেশি মাস্ক তৈরি করা হচ্ছে।
ফ্রান্সের রাজনীতিবিদরাও সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রকে চীনের ফেস মাস্কসহ চিকিৎসা প্রতিরক্ষামূলক সরঞ্জাম কেনার জন্য অভিযোগ করেছেন যা ফ্রান্সের জন্য ছিল। এদিকে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলছেন মাস্ক যা অর্ডার করা হয়েছে তার চেয়ে কম এসেছে দেশে। যুক্তরাষ্ট্রের যে প্রয়োজন রয়েছে কানাডাতেও তার কম নয়। করোনার মোকাবেলায় সবাইকে এক সাথে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
করোনার সময়ে চাহিদা মোকাবেলায় মাস্কসহ অন্যান্য সরঞ্জামাদি তৈরিতে বিশ্বের অনেক দেশকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এ নিয়েই তৈরি হচ্ছে জটিলতা।