নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সহযোগিতায় সাতক্ষীরার জনপ্রিয়তম অনলাইন ডেইলি সাতক্ষীরা এই সংকটময় মূহুর্তে “ঘরে বসে আহার” নামে যে উদ্যোগ নিয়েছে আমি তাদের ধন্যবাদ দিতে এসেছি এখানে। আমরা জানি যে বাংলাদেশ রাস্ট্রের জন্ম ইতিহাস থেকে শুরু করে জাতির যত অর্জন এবং ক্রান্তিকাল সব কিছুতে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের ভূমিকা অপরিসীম। প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় নেতৃত্ব দিয়েছে। মেধা, অর্থ সব কিছু দিয়ে তারা সহযোগিতা করেছে। তাদের একটি ক্ষুদ্র অংশ হিসেবে সাতক্ষীরা জেলায় ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের যে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা রয়েছে তাদের যে আয়োজনটি করেছে। তাদেরকে সাধুবাধ জানাই। আমরা অনেকে অনেকভাবে সাহায্য করছি। যার যার অবস্থান থেকে মানুষের পাশে দাড়ানোর চেষ্টা করছি। এটা একটি বিশাল পেইন যে প্রতিদিন রান্না করে খাবার বিলি করা। তারপরও আমাদের অ্যালামনাই এর নেতৃবৃন্দ সেটি করে যাচ্ছে।
আমি বলবো আমাদের যদি সামান্য সামর্থ থাকে তাহলে বাড়িতে থাকুন। খাবারের জন্য বাইরে ঘোরাঘুরি করবেন না। বাইরে আসলে আপনাদের জীবনের ঝুঁকি বাড়তে পারে। কয়েকটা দিন বাড়িতে থাকলে এ সংকট কেটে যাবে। কিন্তু যদি আপনারা বিভিন্ন অযুহাতে বাইরে আসেন তাহলে এটি যে কত লম্বা হবে। দীর্ঘস্থায়ী হবে। কত জীবনহানী হবে। তা সারা বিশে^র বিভিন্ন দেশ পর্যবেক্ষন করলে আমার বুঝতে পারি। এরোগের কোন চিকিৎসা কখনো তৈরি হয়নি। সুতরাং বাড়িতে থাকুন।
বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় সাতক্ষীরার জনপ্রিয়তম নিউজ পোর্টাল ডেইলি সাতক্ষীরার পক্ষ থেকে এবং ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন, সাতক্ষীরার সহযোগিতায় ৪৫০ পরিবারের মধ্যে “ঘরে বসে আহার” কর্মসূচির পরিদর্শনে গিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, নিউজ পোর্টাল ডেইলি সাতক্ষীরার পক্ষ থেকে এবং ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন, সাতক্ষীরা যে কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছে। আমি নিজেও তাদের সাথে সম্পৃক্ত হবো। তাদের এ কর্মসূচি অব্যাহত থাকুক এই প্রত্যাশা করি। এসময় তিনি এ কর্মসূচিতে সহযোগিতা করার আশ^াস প্রদান করেন।
উপস্থিত ছিলেন, ডেইলি সাতক্ষীরার সম্পাদক ও ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন, সাতক্ষীরার সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান মাসুম, সাতক্ষীরা জীবনবীমা করপোরেশনের জেলা ম্যানেজার রেফাজুর রহমান বিমান, টগর, ডেইলি সাতক্ষীরার বার্তা সম্পাদক এম. বেলাল হোসাইন, রওশন জাহান রূপা, ফাহিম, প্রমুখ।
উল্লেখ্য: ১৪ এপ্রিল বুধবার থেকে প্রতিদিন দুপুরে সাতক্ষীরা পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ড সদর উপজেলার ৪টি ইউনিয়নের ৪৫০ পরিবারের বাড়িতে ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন, সাতক্ষীরাসহ বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের আর্থিক সহযোগিতায় এ খাবার পৌছে দেওয়া হচ্ছে।
এর আগে করোনা পরিস্থিতে নাগরিক আন্দোলন মঞ্চের পক্ষ থেকে কর্মহীন ২শ পরিবারকে রান্না করা খাবার ১১ এপ্রিল পর্যন্ত সরবরাহের সিদ্ধান্ত হলেও তা বাড়িয়ে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়। কর্মসূচিতে প্রশংসা পাওয়ায় এবং অসহায় পরিবারগুলোর বিশেষ চাহিদা থাকায় আরো প্রায় ৪৫০ পরিবারকে খাদ্য সরবরাহ করা হয় নাগরিক মঞ্চের পক্ষ থেকে। নাগরিক আন্দোলন মঞ্চ এ কর্মসূচি বন্ধ করে দিলে ১৩ এপ্রিলের পরে পরিবারগুলোর নির্ভরশীলতা বিবেচনায় নিয়ে সাতক্ষীরার জনপ্রিয়তম নিউজ পোর্টাল ডেইলি সাতক্ষীরা পরিবার এগিয়ে আসে।
পূর্ববর্তী পোস্ট