বিদেশের খবর : সৌদি আরবের বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে এখন পর্যন্ত পাঁচজন বাংলাদেশি চিকিৎসক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। একই সঙ্গে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন দুই চিকিৎসকের স্ত্রীও। এছাড়া বেশ কয়েকজন চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন আছেন সৌদি আরবের বিভিন্ন হাসপাতালে। সোমবার রিয়াদের বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
পাঁচজন ডাক্তার হলেন- ডা. মোহাম্মদ শফিউল্লাহ (রণক),ডা. আবদুর রহিম, ডা. আফাক হোসেন, ডা. গোলাম মোস্তফা ও ডা. আনোয়ার উল হাসান।
সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মোশিহ্ নিহত চিকিৎসকদের স্মরণ করে বলেন, যে চিকিৎসকরা মানুষকে সাহায্য ও চিকিৎসার জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন তারা প্রকৃত বীর। তাদের শোক সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি তিনি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ১৯ জুন করোনা সংক্রমণের কারণে মারা যান ডা. মোহাম্মদ শফিউল্লাহ (রণক)। তিনি সৌদি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে রিয়াদের কিং সালমান হাসপাতালে মেডিসিন বিভাগে পরামর্শক হিসাবে কর্মরত ছিলেন। ড. রণক সৌদি আরবে কোভিড-১৯ মহামারি সংক্রমণের শুরু থেকেই কিং সালমান হাসপাতালের দুটি করোনা ওয়ার্ডের দায়িত্বে ছিলেন।
করোনায় সৌদি আরবে প্রথম ডাক্তার হিসেবে ডা. আফাক হোসেনের মৃত্যু হয়। তিনি পবিত্র নগরী মদিনার স্থানীয় সাফা আল মদিনা পলি ক্লিনিকের একজন অর্থোপেডিক সার্জন ও জেনারেল প্র্যাকটিশনার হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। আরেক চিকিৎসক আবদুর রহিম ১৯ মে জেদ্দায় মৃত্যুবরণ করেন। তিনি জেদ্দার বিন লাদেন পলি ক্লিনিকে জেনারেল প্র্যাকটিশনার হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৩ জুন ডা. আনোয়ার উল হাসান রিয়াদে করোনাভাইরাস সংক্রমণে মারা যান। তিনি রিয়াদের বাথায় বদরুদ্দিন পলি ক্লিনিকে জেনারেল প্র্যাকটিশনার হিসাবে কাজ করেছিলেন। এছাড়া ১৬ জুন মদিনায় করোনার সংক্রমণে ডা. গোলাম মোস্তফা মারা যান। তিনি সৌদি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে মদিনার আগুল স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করেছেন।
রিয়াদে করোনা সংক্রমণে আরও দু’জন বাংলাদেশি ডাক্তারের স্ত্রীও মারা যান। ডা. শফিকুল ইসলামের স্ত্রী এবং ডা. আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী সম্প্রতি রিয়াদে ইন্তেকাল করেন। এছাড়া আরও বেশ কয়েকজন চিকিৎসকও সৌদিআরবে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।
এছাড়া বাংলাদেশ দূতাবাস কর্তৃপক্ষ আক্রান্ত ডাক্তারদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত ও যেকোনো সহযোগিতা করার জন্য চিকিৎসক সংগঠনের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছেন বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।