অনলাইন ডেস্ক : নারী সহকর্মী এডিসিকে নানাভাবে হেনস্তাকারী সেই ডিসিকে প্রত্যাহার করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। অভিযুক্ত ডিসি ২০তম ব্যাচের কর্মকর্তা। তদন্ত প্রতিবেদন জমা না হওয়ায় ডিসির নাম প্রকাশ করা হল না।
সোমবার ডিসি রদবদলের তালিকায় আলোচিত ওই ডিসির নামও রয়েছে। তবে তাকে প্রত্যাহার করে কোথাও পদায়ন করা হয়নি।
প্রসঙ্গত, ডিসির বিরুদ্ধে সহকর্মী নারী কর্মকর্তার গুরুতর অভিযোগ’ শিরোনামে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপর টনক নড়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের।
এর আগে ভুক্তভোগী নারী কর্মকর্তা লিখিত অভিযোগ দিয়েও সেভাবে প্রতিকার পাচ্ছিলেন না। বরং প্রশাসনে কর্মরত অনেক প্রভাবশালী কর্মকর্তা অভিযুক্ত ডিসির পক্ষে অবস্থান নেন। তদন্তেও তেমন কোনো গতি ছিল না। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তা ও তদন্ত সংশ্লিষ্টদের কেউ কেউ উল্টো অভিযোগকারী নারী কর্মকর্তার দোষ-ত্রুটি তালাশ করার চেষ্টা করেন। তারা তাকে এ কথাও বলেন- ডিসি খুব ভালো অফিসার। তুমি এসব অভিযোগ করা থেকে বিরত হও; চেপে যাও। চাকরিটা ঠিকমতো কর।’
সূত্র জানায়, গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর প্রশাসনজুড়ে ক্ষোভের সঞ্চার হয়। বেশিরভাগ কর্মকর্তা ভুক্তভোগী নারীর পাশে এসে দাঁড়ান। এ ধরনের রিপোর্ট করার জন্য অনেকে সরাসরি, কেউ কেউ ফোন করে গণমাধ্যমের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তারা বলেন, এর একটা বিহিত হতেই হবে। কোনো কর্মকর্তা মেধাবী দক্ষ হলেই এ ধরনের অপরাধ ধাপাচাপা দেয়া যাবে না। পরিস্থিতি কোন পর্যায়ে গেলে একজন নারী কর্মকর্তা (এডিসি) তার সরাসরি নিয়ন্ত্রণকারী কর্মকর্তা ডিসিকে গালিগালাজ করতে পারেন, সেটি সহজে অনুমান করা যায়।
প্রসঙ্গত, উপসচিব পদমর্যাদার ওই নারী কর্মকর্তা বর্তমানে ঢাকায় কর্মরত। তার অভিযোগের ভিত্তিতে ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনারের দফতর থেকে বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। যুগান্তরে রিপোর্ট প্রকাশিত হওয়ার পর ১২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেয়া হয়েছে।