প্রেস বিজ্ঞপ্তি : পূর্বের দুই বিবাহের কথা গোপন এবং একাধিক পুরুষের সাথে সম্পর্কের জেরে তালাকের ৫ দিন পর আদালতে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে। রবিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কালিগঞ্জের আলহাজ¦ মো: মুজিবর রহমান ছেলে মহব্বত আলী।
লিখিত বক্তব্যে বলেন আমি দীর্ঘদিন প্রবাসে ছিলাম। আমার ১ম স্ত্রীর ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। সে সময় আমার তার গর্ভে আমার ঔরশে একটি ১ বছর ৬ মাস বয়সী পুত্র সন্তান ছিলো। আমার পুত্র সন্তান অসুস্থ্য হলে সাতক্ষীরা ডক্টর ল্যাবে নিয়ে আসি। সেখানে কর্মরত নার্স তালা উপজেলার আঠুলিয়া বাজার দোহার গ্রামের নজরুল ইসলামের কন্যা শাহানাজ আক্তার মিরা আমার পুত্রকে কোলে নিয়ে আদর করে। তার কাছে গিয়ে আমার মা মরা পুত্র শান্ত থাকে। বিষয়টি দেখে আমি হতবাগ হই। সে সময় শাহানাজ আক্তার মিরা নিজেকে কুমারী দাবি করে আমার পুত্রকে মানুষ করার দায়িত্ব নেওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে। এমনকি তার পড়াশোনার ব্যয় ভার বহন করলে সারা জীবন নিজের সন্তানের মত করে আমার পুত্রকে মানুষ করার প্রতিশ্রুতি দেয়। একপর্যায়ে বিগত ২০১৭ সালে তার সাথে আমার পরিবারিকভাবে বিবাহ সম্পন্ন হয়। বিবাহের পর ধীরে ধীরে শাহানাজ আক্তারের আচারণগত পরিবর্তন ঘটতে থাকে।
এছাড়া সে সাতক্ষীরায় থেকে পড়াশোনা করার দাবি করলে আমি থাকে সাতক্ষীরার একটি মেসে রেখে পড়াশোনার ব্যবস্থা করি। কিন্তু কিছুদিন পরে জানতে পারি সেখানে পড়াশোনার নামে একাধিক মোবাইল ফোন ব্যবহার করে একাধিক ছেলেদের সাথে যোগাযোগ রাখে। বাড়িতে গেলে আমার মা মরা পুত্র এবং পিতা-মাতার সাথে অমানুষিক নির্যাতন করতে থাকে। তারপরও তাকে নিয়ে ভ্রমণ ভিসায় বিদেশ থেকে ঘুরিয়ে নিয়ে আসি। বিদেশে গিয়ে আমার কাছ থেকে আনুমানিক ৬ লক্ষাধিক টাকার স্বর্ণালংকারসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র কিনে নেয়। এরপর মাত্র ১০ মাস পূর্বে চলতি বছরে আমি বিদেশ থেকে স্থায়ীভাবে বাড়িতে ফিরে আসি। বাড়িতে ফিরে আসার পর শাহানাজ আক্তার আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে এবং কেন একেবারে বাড়ি ফিরে আসলাম তা নিয়ে অশান্তি শুরু করতে থাকে।
অশান্তির কারণ হিসেবে আমি বুঝতে পারি তার একাধিক পুরুষের সাথে সম্পর্ক রয়েছে এবং ইতোপূর্বে শাহানাজ আক্তার মিরা দুই স্বামীকে তালাক দিয়েছে। একাধিক পুরুষের সাথে তার সম্পর্কের বিষয়ে কিছু বলতে গেলেই আত্মহত্যার হুমকি প্রদর্শন করে আমাকে মানষিকভাবে নির্যাতন করতে থাকে। গত ০৭.০৬.২০২১ তারিখ রাতে বাড়ি ফেরার পর আমাকে ঘরে ঢুকতে না দিয়ে ভেতর থেকে তালা লাগিয়ে দিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে এবং গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যার হুমকি প্রদর্শন করে। আমি পুলিশ কে অবগত করিয়ে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকেও অবগত করি। ওই ঘটনার পরের দিন আমার ঘরে থাকা নগদ টাকা, স্বর্ণলাংকারসহ ট্রাক ভর্তি করে ৮/১০লক্ষ টাকার মালামাল নিয়ে পিতার বাড়িতে চলে যায় এবং আমার সাথে সংসার করবে না মর্মে জানায়। “তোর মত স্বামী প্রয়োজন নেই” বলে গালিগালাজ করে তখন আমি গত ১০/০৬/২০২১ তারিখে আমি তাকে খোরপোষসহ আদালতের মাধ্যমে তালাক প্রদান করি। তালাকের খবর পেয়ে চরিত্রহীন শাহানাজ আক্তার ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে এবং ১৫/০৬/২০২১ আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতনের মামলা দায়ের করে আমাকে দিশেহারা করে তুলেছে। আমি বর্তমানে ওই চরিত্রহীন পরিবারের খপ্পড়ে পড়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছি। তিনি শাহানাজ আক্তারের দায়েরকৃত মিথ্যা মামলার দায় হতে অব্যহতি এবং হয়রানির হাত থেকে রক্ষা পেতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।