প্রেস বিজ্ঞপ্তি ঃ সাতক্ষীরার কলারোয়ায় প্রবাসী বোনের মাদকাসক্ত পুত্রের কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করায় আপন খালা ও মামাদের বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের অভিযোগ উঠেছে। সোমবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন, উপজেলার শুভংকরকাটি গ্রামের আব্দুল আজিজের স্ত্রী পারুল খাতুন।
তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমার সেজো বোন আনজুয়ারা খাতুন তার ৮ বছর বয়সী শিশুপুত্র খন্দকার রাকিবুল ইসলাম ইমনকে রেখে প্রবাসে চলে যান। বিদেশ যাওয়ার পূর্বে খন্দকার ইসরাইল হোসেনের সাথে বোন আনজুয়ারার ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। এরপর ইসরাইল ভারতের বোম্মের এক মহিলাকে বিয়ে করে নিয়ে আসেন। সেখান থেকে ইমনকে নিজের সন্তান মনে করে কোলে পিঠে করে মানুষ করেছি। এখন তার বয়স প্রায় ৩০ বছর। করোনা পরিস্থিতিতে অন্যের বাড়িতে কাজ করে তাকে খাইয়েছি।
কিন্তু বিদেশ প্রবাসী বোন সব সময় টাকা পয়সা ইমনের একাউন্টে পাঠাতো। ২০১৩ সালের দিকে আনজুয়ারা দেশে ফিরে ইমনের থাকার জন্য ভাই আব্দুল আহাদ, আবুল হাসান ও প্রতিবন্ধী ভাই আবুল বাসারের জমিতে জোরপূর্বক ঘর নির্মাণ করে দেই।
বর্তমানে সেখানে বসবাস করে ইমন। তাকে এতটাই ¯েœহ করতাম যে, নিজের জীবনের সঞ্চিত অর্থ দিয়ে কলারোয়া সোবহান মার্কেটে ১৫ লক্ষ টাকা দিয়ে একটি দোকান ক্রয় করি। তার প্রতি অগাধ বিশ^াসের জেরে নিজের স্বামীর নামে না দিয়ে ওই দোকান ইমনের নামে দিয়েছিলাম। কিন্তু ইমন বড় হয়ে ওই দোকানটি অন্যের কাছে বিক্রি করে ফেন্সিডিল খেয়ে ও জুয়া খেলে উড়িয়ে দেয়। এনিয়ে স্থানীয়ভাবে শালিসের মাধ্যমে অল্প কিছু টাকা আমাকে ফিরিয়ে দেয়।
আমাদের উপার্জনের একমাত্র প্রতিষ্ঠানটি বিক্রয় করে দেওয়ায় আমি পথে বসেছি। বাধ্য হয়ে পিতার বাড়ির গোয়াল ঘরে আশ্রয় নিয়েছি।
ওই দোকানের টাকা ফেরত চাওয়াকে কেন্দ্র করে ইমনের সাথে বিরোধের সৃষ্টি হয়। উক্ত টাকা ফেরত চাওয়াকে কেন্দ্র করে গত ১৬/১০/২০২১ তারিখে ইমনের পিতা খন্দকার ইসরাইল, তার বর্তমান স্ত্রী বোম্বের শেলি, খন্দকার নুরুল ইসলাম, মনজুয়ারা, চাচাতো ভাবী শাহিনাসহ কয়েকজন ভাড়াটিয়া দেশীয় অস্ত্র সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আমার পিতার বাড়িতে প্রবেশ করে বাড়ি ঘর ভাংচুর করে। আমার ভাই আবুল হাসানকে মারপিট করে এবং ইসরাইল আমাকে বেধড়ক মারপিট করে হাতের আঙ্গুল ভেঙে দেই।
আমার পরনের জামাকাপড় ছিড়ে শ্লীলতাহানি ঘটনায়। অথচ এঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে ইমন আমি নিজে ঘর ভাংচুর করে মর্মে প্রচার দিচ্ছেন। যা সর্ম্পূণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। তিনি বলেন, শুভংকরকাটির হাল ১১৬৯ ও ১১৭২ দাগে সাড়ে ৬ শতক সম্পত্তির বৈধ মালিক আমার তিন ভাই। সেখানে ইমনের মায়ের কোন জমি নেই। আমার ভাই এবং আমরা ওই ঘর ছেড়ে দেওয়ার কথা বলায় আমাদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে এসব কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে ইমন। ইমন যে জমিতে থাকে সেটিও আমার ভাইদের। ইমন বর্তমানে ওই ঘরে মাদক ও জুয়ার আসর বসিয়ে পরিবেশ নষ্ট করে যাচ্ছে। তার মা আনজুয়ারাকে বিষয়টি জানালেও সে উল্টো মাদকাসক্ত পুত্রের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। এর প্রতিবাদ করায় সে তার ভাড়াটিয়া লোকজন নিয়ে প্রকাশ্যে আমার স্বামী আব্দুল আজিজ, ভাই হাসানসহ আমাদের খুন, জখম ও মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানির হুমকি প্রদর্শন করে যাচ্ছে। এরই জেরে গত ২৪ অক্টোবর সে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের হাজির হয়ে আমাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মিথ্যা অভিযোগ এনে একটি সংবাদ সম্মেলন করে।
যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সংবাদ সম্মেলন থেকে তিনি এ সময় মাদকাসক্ত জুয়াড়ি ইমনের কবল থেকে বাড়ির পরিবেশ রক্ষা এবং নিজেদের জীবনের নিরাপত্তার দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।##