আসাদুজ্জামান : তৃতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার পুষ্পকাটিতে আওয়ামীলীগ সমর্থিত বিজয়ী ও পরাজিত দুই ইউপি সদস্যের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে কয়েকটি বাড়ি-ঘর ভাংচুরসহ আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৬ জন। এ ঘটনায় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ১৩ জনকে আটক করেছেন। সোমবার রাতে এ হামলার ঘটনাাট ঘটে।
এদিকে, রাতেই নবনির্বাচিত ইউপি সদস্য গোলাম রব্বানীসহ ৩৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৪০ জনের নামে থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, গত ২৮ নভেম্বর ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচনে দেবহাটা উপজেলার পুষ্পকাটি ৩ নং ওয়ার্ডে সাধারন সদস্য পদে শাহেদুজ্জামান রিপন ও গোলাম রাব্বানী প্রতিদ্বন্দীতা করেন। এতে গোলাম রাব্বানী বিজয়ী হন।
নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগের নৌকার পরাজিত প্রার্থী আসাদুল ইসলামের পক্ষে ছিলেন পরাজিত ইউপি সদস্য প্রার্থী রিপন এবং নবনির্বাচিত ইউপি সদস্য গোলাম রাব্বানী ছিলেন আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আছাদুল হকের পক্ষে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আগে থেকেই তাদের দুজনের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এরই জেরে সোমবার (২৯ নভেম্বর) রাতে নব নির্বাচিত ইউপি সদস্য গোলাম রব্বানি ও নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আছাদুল হকের ছেলে দেলোয়ার হোসেন শাওনের নেতৃত্বে হাশেম সরদার, রহিম গাজী, তরিকুল ইসলাম, শহীদ গাজীসহ ৫০/৬০ জনের একটি গ্রুপ শাবল, লোহার রড, জিআই পাইপ নিয়ে গোলাম কিবরিয়া, গোলাম মোস্তফা, রবিউল ইসলাম, মেহেদী হাসান, অবসরপ্রাপ্ত সেনা সার্জেন্ট হায়দার আলী ও পরাজিত প্রার্থী শাহেদুজ্জামান রিপনের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। এ সময় ওই সব পরিবারের কমপক্ষে ৬ জন আহত হন।
এ ব্যাপারে নবনির্বাচিত ইউপি সদস্য গোলাম রব্বানির সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগোযোগ করার চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। পরে কয়েকজনের বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। এ ঘটনায় শাহীনুজ্জামান রিপন বাদি হয়ে সোমবার রাতেই নবনির্বাচিত ইউপি সদস্য গোলাম রব্বানী ও দেলোয়ার হোসেন শওনসহ ৩৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৪০ জনের নামে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় পুলিশ ইতিমধ্যে ১৩জনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে তিনি আরো জানান।