নিজস্ব প্রতিবেদক : সালিশের নামে তার সামনে বাবা-মাকে বকাবকি ও প্রেমিক তাকে বিয়ে করতে অসস্মতি জানানোয় ক্ষোভ ও দু:খে আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছে এক তরুণী। রোববার দিবাগত রাত ১১টার দিকে সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার ওই তরুণী কীটনাশক পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়।
তরুণীর মা জানায়, তার মেয়ে একই এলাকার কাঠমিস্ত্রীর কাজ করে এক ছেলে (আলিমুল দালাল) সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। ছেলেটি তাকে বিয়ে করবে বলে প্রতিশ্রুতি দেয়। রোববার রাত নয়টার দিকে ছেলেটি তার মেয়েকে মোবাইল করে বাইরে আসতে বলে। বাড়ি থেকে বাইরে এসে ছেলেটি সঙ্গে কথা বলার আগ মূহুর্তে একই এলাকার শিমুল, মামুন, রাজু, বাবু ও ওয়াদুল তাদের আটক করে। তাদের বিরুদ্ধে অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগ তোলে। পরে তারা স্থানীয় কেড়াগাছি ইউপির সদস্য ইয়ার আলী ও মফিজুল ইসলামের হাতে তুলে দেয়। রাতেই ইউপি সদস্যরা তাদের বাড়িতে সালিশ বাসায়। সালিশে ছেলেটি ওই মেয়েকে বিয়ে করতে অস্মতি জানান। এ সময় তারা প্রেমিক ছেলেটি ও তার সঙ্গে থাকা একই এলাকার মিন্টু সরদারকে মারধোর করে। আর মেয়ে, তার বাবা ও মাকে বকাবকি করে। এ সময় মেয়ের বাবাকে তার ভাই মারধোর করে।
তিনি আরও জানান, সালিশ শেষে মেয়ে তাকে বলে সালিশের নামে তোমাদের অপমানিত করা হয়েছে। ছেলেটি তাকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে এখন অস্মতি জানাচ্ছে। এ মুখ আর কাউকে দেখাবে না। এসব কথা বলে রাত ১১টার দিকে গড়ে দরজা দিয়ে কীটনাশক পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। তারা জানতে পেরে তাকে উদ্ধার করে কলারোয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
ছেলেটি চাচা বলেন, শালিসের নামে তার ভাইপোকে মারধোর করা হয়েছে। সে তার পর আর বাড়িতে আসেনি। ছেলে ও মেয়ের সঙ্গে কি সম্পর্ক ছিল তা তিনি জানেন না।
কেড়াগাছি ইউপি সদস্য ইয়ার আলী জানান, কয়েক তরুণ ছেলে ও মেয়েটিকে আটক করে তাদের খবর দেয়। তিনি জিজ্ঞাসাবাদ করে দেখেন তাদের এক সঙ্গে আটক করা হয়নি। ত মেয়েটি বয়স সবে ১৬ বছর পেরুয়েছে। ছেলেটিও বয়স ১৫ বেশি হবে না। তাদের এভাবে চলাফেরার কারণে তিনি ছেলেটিকে মারপিট করে শাসন করেছেন। মেয়েটি ও তার অভিভাবকদের বকাবকি করে চলে এসেছেন। এর জন্য যদি মেয়েটি আত্মহত্যার চেষ্টা করে থাকে তার জানা নেই।
কলারোয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকলে অফিসার ডা. শফিকুল ইসলাম জানান, রাত দেড়টার দিকে মেয়েটিকে ভর্তি করা হয়েছে কীটনাশক পান করা অবস্থায়। সোমবার বিকেল পাঁচটার দিকে তিনি মেয়েটি দেখে বলেন সে ভালো আছে।
কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার নাথ বলেন, তার এ বিষয় জানা নেই। কেউ তাদের কাছে অভিযোগ করেনি।
পূর্ববর্তী পোস্ট