রাজনীতির খবর: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে ‘গোনার টাইম নাই’ বলে মন্তব্য করেছেন নোয়াখালী-৪ (সদর-সুবর্ণচর) আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘আমি একজন মেম্বার অব পার্লামেন্ট। কাদের মিয়ারে গোনার আমার টাইম নাই। হেতে (সে) যেইরকম এমপি, আমিও সেইরকম এমপি। এই কাদের নিজের ভাইয়ের বিচার করতে পারে না, হেতে আবার মানুষের বিচার কী কইরব।’
মঙ্গলবার (২২ মার্চ) দুপুরে নোয়াখালী সদর উপজেলার কালাদরাপ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজানের বাড়িতে এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে একরামুল করিম চৌধুরী বলেন, আপনাদের গায়ের গন্ধ আমি পেয়েছি। আপনাদের থেকে কেউ আমাকে আলাদা করতে পারবে না। আগামী এক বছরের মধ্যে এই এলাকার (কালাদরাপ ইউনিয়ন) সব রাস্তাঘাট পাকা করব।
তিনি আরও বলেন, মানুষকে ভালোবাসতে দলের প্রয়োজন হয় না। আমি আপনাদের মন থেকে ভালোবাসি। আপনাদের কাছে একটা দাবি জানাচ্ছি, আমি মারা গেলে আপনারা সবাই আমার জানাজায় আসবেন। আপনাদের সকলের দোয়ায় আমি হয়তো জান্নাতে যেতে পারি।
জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহিনকে উদ্দেশ্য করে একরামুল করিম চৌধুরী বলেন, সে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাছ থেকে টাকা দাবি করেছে। মানুষের জায়গা দখল করে আজ বড় লোক হয়েছে। সে একটা চোর। এই টাকা জমিয়ে সে ইতালিতে মদের দোকান দিয়েছে। শাহিনের এক ভাই জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থায় (এনএসআই) কাজ করে। ভাইকে দিয়ে সে আমার নামে বিভিন্ন রিপোর্ট করায়। মানুষ জেগে উঠলে এসব এনএসআইয়ের রিপোর্টের চাপে কাজ হবে না।
এ প্রসঙ্গে শিহাব উদ্দিন শাহিন বলেন, তিনি (একরামুল করিম) প্রতিদিন মিথ্যা ও বানোয়াট বক্তব্য দিচ্ছেন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আমাদের নোয়াখালী তথা সারা বাংলাদেশের গর্ব। উনি এভাবে মন্ত্রী মহোদয় এবং আমাকে নিয়ে কথা বলতে পারেন না। আমি তার বক্তব্যের নিন্দা জানাই।
প্রসঙ্গত, নোয়াখালী-৪ (সদর-সুবর্ণচর) আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী দীর্ঘ ১৩ বছর ধরে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০২১ সালের সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে একরামুল করিম চৌধুরীকে বাদ দিয়ে ৮৭ সদস্যের নতুন আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। এতে আহ্বায়ক করা হয় এ এইচ এম খায়রুল আনম চৌধুরীকে। আর দুই যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয় অ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহিন এবং নোয়াখালী পৌরসভার মেয়র সহিদ উল্লাহ খানকে।