কালিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাতীয় পুরষ্কারে সারা দেশের মধ্যে কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ৬ষ্ঠ তম স্থান অর্জন করেছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় ৬টি মূলনীতিকে প্রধান কাঠামো বিবেচনায় নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এমআইএস কর্তৃক প্রান্তিক পর্যায়ের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, জেলা হাসপাতাল,
মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বিশেষায়িত এবং স্নাতকোত্তর হাসপাতাল সমূহ থেকে সংগৃহীত তথ্য ও উপাত্ত সমূহের ভিত্তিতে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে প্রতিবছর এই জাতীয় পুরষ্কার দেওয়া হয়।
এরই আলোকে গত ৩১ মার্চ বৃহষ্পতিবার ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলানয়তনে “স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাতীয় পুরষ্কার” প্রদান করা হয়। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক
উপস্থিত থেকে স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠান প্রধানদের হাতে “স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাতীয় পুরষ্কার” প্রদান করেন। স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানসমূহের কর্মদক্ষতা মূল্যায়ন, মর্যাদাক্রম নির্ণয় ও সেই অনুযায়ী পুরস্কার প্রদানের মাধ্যমে পেশাগত দায়িত্বে উদ্বুদ্ধ ও উৎসাহ প্রদান করাই হলো এই পুরস্কারের মূল উদ্দেশ্যে। ২০১৪ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কারিগরি সহযোগিতায় হেলথ সিস্টেম স্ট্রেষ্টদেনিং কার্যক্রম চালু করেছে।
এই মূল্যায়ন ব্যবস্থায় চারটি স্বতন্ত্র টুল ব্যবহার করা হয়েছে। ১/ অনলাইন নিরীক্ষণ ২/ মাঠপর্যায়ে পর্যবেক্ষণ ৩/ সরেজমিন মূল্যায়ন যা শীর্ষস্থানীয় স্বাস্থ্য সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানসমূহ বাছাই এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থার অপূর্ণতা খুঁজে পাওয়ার জন্য মূল্যায়নকারীদের দ্বারা সংক্ষিপ্ত তালিকাভুক্ত কেন্দ্রের জন্য ব্যবহৃত ৪/ রোগীর সন্তুষ্টি জরিপ যা সংক্ষিপ্ত তালিকাভুক্ত স্বাস্থ্য সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানসমূহের বাস্তবিক বা সরেজমিন মূল্যায়নসহ একই সাথে পরিচালিত হয়।
প্রতিটি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানের জন্য সেপ্টেম্বর থেকে আগস্ট মাসের মাসিক স্কোরের উপর ভিত্তি করে বার্ষিক স্কোর প্রস্তুত করা হয়।
সেই হিসেবে সারা দেশের মধ্যে ১০টি শীর্ষ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মধ্যে কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ৬ষ্ঠ তম স্থান অধিকার করায় বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নিকট থেকে “স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাতীয় পুরষ্কার” গ্রহন করেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ শেখ তৈয়েবুর রহমান। কাজের এই স্বীকৃতি পেয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বলেন,
মানুষ মানবিকতার জন্য, জয় হোক মানবতার। স্বাস্থ্য বিভাগের সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই। এমন স্বীকৃতি পেলে কাজের উৎসাহ আরো বৃদ্ধিপায়। এই ধারাবাহিকতা আগামিতে যাতে ধরে রাখা যায় সেজন্য সকলকে আন্তরিকতার সাথে কাজ করতে হবে।