নিজস্ব প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী বাস্তহারালীগের সভাপতি ও ভূমিহীন সমিতির সহ-সভাপতি গোলাম রসুল রাসেল, ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল ইসলাম রনি ও মঈনুল ইসলামের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সাতক্ষীরা জেলা ভূমিহীন সমিতির আয়োজনে রোববার বেলা ১১টায় শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন, জেলা ভূমিহীন সমিতির সভাপতি মো: কওছার আলী।
সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদের সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, সহ-সভাপতি মফিজুর রহমান, শেখ হাফিজুর রহমান, ইব্রাহিম ফকির, আরমান আলী, যুগ্ম সম্পাদক আদিত্য মল্লিক, ওয়ার্কার্স পার্টি নেতা মকবুল হোসেন, রহমত আলী সরদার, শাহাজান আলী ছোট বাবু,সাংগঠনিক সম্পাদক বদুজ্জামান বদু, অর্থ সম্পাদক আব্দুল আলিম, মহিলা সম্পাদিকা নাজমা আক্তার নদী, সদর উপজেলা সভাপতি মো: ইউসুফ আলী সরদার, সাংগঠনিক সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, পৌর সভাপতি আশরাফুল ইসলাম গাজী, লাবসা ইউনিয়নের সভাপতি শেখ রিয়াজুল ইসলাম প্রমুখ।
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন, নাহিদা আক্তার নিপা নামের এক নারী গোলাম রসুল রাসেল, রনি এবং মঈনুর রহমানের বিরুদ্ধে একটি ধর্ষন মামলা দায়ের করেছে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন। প্রকৃতপক্ষে ওই নিপার শ^শুরবাড়ী চিটাগাং। সাতক্ষীরায় বাপের বাড়ী। বর্তমানে কামালনগর গ্রামের অস্থায় বসবাসকারী জাহিদুর রহমানের স্ত্রী নাহিদা আক্তার নিপা।
বিগত ২০১৮ সালে গোলাম রসূলের অফিসে কর্মরত ছিলো নিপার ভাই টুটুল। সে সময় তাদের বাড়ির বিভিন্ন সমস্যার কথা জানিয়ে বিভিন্ন সময়ে চেকের মাধ্যমে ১৫ লক্ষ টাকা গ্রহণ করেন। পরববর্তীতে টাকা ফেরত চাইলে টাকা না দিয়ে তালবাহানা করতে থাকে এবং নিপা মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানির হুমকি প্রদর্শণ করতে থাকে। একপর্যায়ে ৩০/৩/২২ তারিখে সাতক্ষীরা সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলায় দায়ের করে। উক্ত মামলাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, কাল্পনিক বানোয়াট। বক্তারা অবিলম্বে ওই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক মিথ্যা মামলা দায়েরকারী ওই নিপার শাস্তির দাবি জানান।
বক্তারা আরো বলেন, নাহিদা আক্তার নিপা পরিচয় গোপন রেখে বিভিন্ন নামে মানুষের সাথে প্রতারনা করে অর্থ হাতিয়ে নেয়। তার স্বামী একজন নাশকতা মামলার আসামী এবং মাদক ব্যবসায়ী। নিপা, তার ভাই মা একটি প্রতারক চক্র। প্রতারনার ফাঁদে ফেলে পুরুষ মানুষকে নি:শ^ করে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া তাদের প্রধান পেশা।
প্রতিবাদ সমাবেশে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলন এবং বিষয়টির সমাধানের লক্ষে ১৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।