নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরায় নিরিহ এলাকাবাসীকে হয়রানির প্রতিবাদ করায় আপন শ্যালক ও শিক্ষক নেতা সাবেক কমিশনার চাচা শ্বাশুর আশরাফ মাস্টারের বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন, পুরাতন সাতক্ষীরা ডাঙ্গীপাড়া গ্রামের মৃত হামিদুল ইসলামের পুত্র আব্দুল মালেক।
লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন, আমাদের এলাকার পুঞ্জু বেশের পুত্র আশরাফ আলী একজন শিক্ষাবিদ, শিক্ষক নেতা ও সাবেক কমিশনার হিসেবে সাতক্ষীরা জেলায় অত্যান্ত সুনাম রয়েছে। তিনি ১৯৭১ সালে পল্লী মঙ্গল হাইস্কুলে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করে ধুলিহর ইউনাইডেট হাইস্কুলের প্রধান হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন। তার বিরুদ্ধে ৭১ সালের কোন দাগ লাগেনি।
অবসর গ্রহনের পর থেকে এলাকায় বিভিন্ন সমাজ কল্যাণ মূলক কাজকর্ম করে যাচ্ছেন। আশরাফ মাস্টারের সাতক্ষীরা শহরের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের কাছে গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। কিন্তু আশরাফ মাস্টারের ভাইয়ের জামাতা আশাশুনি এলাকার মৃত আফছার আলির পুত্র বজলুর রহমান (ঘর জামাই) একজন চিহ্নিত ঠক, প্রতারক।
বজলুর রহমান এলাকার মানুষকে ঋণ পাইয়ে দেওয়ার নামে অবৈধভাবে অর্থ হানিয়ে নেয়। প্রতিবাদ করলে প্রশাসনকে ভুল বুঝিয়ে নানাভাবে হয়রানি করে। এটা নিয়ে তার আপন শ্যালক আব্দুল কাদের, চাচা শ্বশুর আশরাফ মাস্টার বিরোধীতা করেন। এ নিয়ে বজলুর রহমানের সাথে তাদের মনোমালিন্য হয়। এর জের ধরে বজলুর রহমান ষড়যন্ত্র শুরু করে। এদিকে গত ১১ এপ্রিল ২০২২ তারিখে বাদ আসর পুরাতন সাতক্ষীরা ডাঙ্গীপাড়া মসজিদে এলাকাবাসীকে হয়রানির কারন জিজ্ঞাসার জন্য আশরাফ মাস্টার তাকে ডাকেন। তাকে বলা হয় জামাই মানুষ এলাকার মানুষের পিছনে লাগেন কেন।
মসজিদের মধ্যে গালি দেওয়ার কারণে গ্রামাবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে উঠলে বজলুর দৌড়ে বাড়ি চলে যায়। সে সময় তাকে মারপিট বা বাড়ি ঘর ভাংচুরের মত কোন ঘটনা ঘটেনি। অথচ ওই ঘটনায় পুরাতন সাতক্ষীরা ফাঁড়িতে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে বজলু। ডাঙ্গীপাড়া মসজিদে অতি সুনামের সাথে দীর্ঘদিন সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন আশরাফ মাস্টার। ওই বজলুর রহমান থাকে ঘর জামাই। এলাকার মানুষকে হয়রানি করে দিশেহারা করে তুলেছে ওই ঘর জামাই বজলুর রহমান।
যাদের আতœীয় হওয়ার কারনে গ্রামাবাসী তাকে কিছুই বলেন না অথচ গত ২২ এপ্রিল ২২ তারিখে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে হাজির হয়ে চাচাশ্বশুর আশরাফ মাস্টার, আপন শ্যালক আব্দুল কাদের, আব্দুল গফুর ও হুমায়ুন কবিরের বিরুদ্ধে জঘন্য মিথ্যাচার করেছে। আমরা উক্ত সংবাদ সম্মেলনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ঘর জামাই বজলুর রহমানের ষড়যন্ত্রের হাত থেকে নিরিহ এলাকাবাসীকে রক্ষায় তাকে গ্রেফতার পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্র্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি।