নিজস্ব প্রতিনিধি :
‘জনশুমারিতে তথ্য দিন, পরিকল্পিত উন্নয়নে অংশ নিন’ প্রতিপাদ্যে ৬ষ্ঠ জনশুমারি ও গৃহগণনা উপলক্ষে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ধুলিহর ইউনিয়নের গণনাকারী ও সুপারভাইজারদের চারদিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৯ জুন) সকালে ধুলিহর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মিজানুর রহমান চৌধুরী ওই প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন করেন এবং প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে ট্যাব বিতরণ । প্রশিক্ষণ চলবে ১২ জুন পর্যন্ত।
ধুলিহর-ব্রহ্মরাজপুর (ডি. বি) মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্কুলের প্রধান শিক্ষকের প্রতিনিধি এসএম শহীদুল ইসলাম। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ৪নং জোনাল অফিসার উপসহকারী কৃষি অফিসার সুমন কুমার সাহা। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন আইটি অফিসার অজয় কুমার দাশ।
অনুষ্ঠানেরর উদ্বোধক ধুলিহর ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান চৌধুরী বলেন, আগামী ১৫ জুন থেকে ২১ জুন পর্যন্ত দেশে প্রথমবারের মতো ডিজিটাল পদ্ধতির জনশুমারি ও গৃহ গণনা অনুষ্ঠিত হবে। এবারের শুমারিতে ‘নিখুঁত’ এবং ‘বিশুদ্ধ’ তথ্য পাওয়া যাবে। দেশের সকল মানুষের আর্থ-সামাজিক তথ্য সংগ্রহে সারাদেশে আগামী ১৫ থেকে ২১ জুন সাতদিন একযোগে জনশুমারি ও গৃহ গণনা করবে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)।
তিনি আরও বলেন, দেশের ইতিহাসের ষষ্ঠতম এই জনশুমারি কার্যক্রম ডিজিটাল পদ্ধতিতে হওয়ায় আমরা নিখুঁত ও বিশুদ্ধ তথ্য পাব। এতে সকল তথ্যই সবার জন্য উম্মুক্ত থাকবে।
তিনি বলেন, এর আগে প্রতি ১০ বছর পরপর আদম শুমারি নামে দেশের জনসংখ্যার শুমারি করা হতো। এবারেরর জনশুমারির অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে ব্যষ্টিক ও সামষ্টিক পর্যায়ে ব্যক্তি ও গৃহের তথ্য নিয়ে সারাদেশে কোন জেলায় কত মানুষ ও তাদের আর্থ-সামাজিক অবস্থা কী তা বিশ্লেষণ করা। এরপর সরকার ওই তথ্য নিয়ে দেশের বৈষম্য নিরুপণের উদ্যোগ গ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি করবে। এ জন্য সকল ধরনের খানাভিত্তিক আর্থ-সামজিক জরিপের জন্য নমুনা ফ্রেম প্রস্তুত করা হবে। এবারের জনশুমারিতে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সিস্টেম (জিআইএস) ভিত্তিক ডিজিটাল ম্যাপ ব্যবহার করে ডিজিটাল পদ্ধতিতে তথ্য সংগ্রহ ও বিন্যাস করা হচ্ছে। জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২-এর মাধ্যমে বাংলাদেশের সকল গৃহ, সাধারণ, প্রাতিষ্ঠানিক ও বস্তি খানা, ভাসমান জনগোষ্ঠী, খানায় বসবাসরত সকল সদস্যের তথ্য সংগ্রহ করা হবে।
প্রকল্পের আওতায় গৃহের সংখ্যা ও ধরণ, বাসস্থানের মালিকানা, খাবার পানির প্রধান উৎস, টয়লেটের সুবিধা, বিদ্যুৎ সুবিধা, রান্নার জ্বালানির প্রধান উৎস এসব তথ্যও সংগ্রহ করা হবে।
জনমিতির পাশাপাশি আর্থ-সামাজিক তথ্য অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড, বৈদেশিক রেমিট্যান্স, খানা সদস্যদের বয়স, লিঙ্গ, বৈবাহিক অবস্থা, ধর্ম, প্রতিবন্ধিতা, শিক্ষা, কর্ম, প্রশিক্ষণ, মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট ব্যবহার, ব্যাংক, মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, জাতীয়তা, নিজ জেলা ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হবে। জরিপের তথ্য নিয়ে স্থানীয় ও জাতীয় নির্বাচনের নির্বাচনী এলাকা নির্ধারণের জন্য তথ্য সরবরাহ করা হবে।
অনুষ্ঠানে বক্তারা সংশ্লিষ্ট সকলকে সঠিক তথ্য দিয়ে প্রকল্পটির সফলতায় অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান। প্রশিক্ষণে ৭১জন গণনাকারী অংশ গ্রহণ করেন।##