নিজস্ব প্রতিনিধি : তালার পাটকেলঘাটায় স্বামীর বাড়ি থেকে নিখোঁজ হওয়া কন্যার সন্ধানের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে অসহায় মাতা। বৃহস্পতিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে লিখিত বক্তব্যে এ দাবি জানান কেশবপুর ধর্মপুর চিংড়া গ্রামের গুরুপদ দাশের স্ত্রী বাসন্তী দাশ। তিনি বলেন, আমরা ঝুড়ি ডালা বুনে জীবিকা নির্বাহ করি।
আমাদের ৫টি কন্যা সন্তানের মধ্যে বড় কন্যাকে বিগত ৫/৬ বছর পুর্বে পাটকেলঘাটা থানার কাদিকাটি গ্রামের বিশু দাশের পুত্র সুব্রত দাশের সাথে বিবাহ হয়। বিবাহের পর থেকে যৌতুকের দাবিতে মারপিট করতে থাকে। এছাড়া সুব্রত দাশ একজন মাদকাসক্ত। নেশা করে বাড়ি ফিরে প্রায়ই তৃপ্তি দাশকে মারপিট করে। ঠিকমত কাজ করে না। দিনের পর দিন কন্যাকে না খেয়ে থাকতে হয়েছে। তারপরও সংসার টিকিয়ে রাখার জন্য সব নির্যাতন সহ্য করে আসছিল কন্যা তৃপ্তি দাস।
ইতোমধ্যে সুব্রত দাশের ঔরশে আমার কন্যার গর্ভে একটি পুত্র সন্তান জন্ম গ্রহণ করে। কিন্তু দিন দিন সুব্রত দাশ, তার মা অর্চনা দাশ, শ^শুর বিশু দাস, প্রতিবেশি দিপংকর দাশ, সুনিল দাশ, রতœা দাশ ও সুশান্ত দাশ মিলে প্রায় তুচ্ছ ঘটনায় মারপিট করতে করে হত্যার চেস্টাও করে। এনিয়ে একাধিকবার শালিশ হয়েছে। কয়েকবার আদালতের মাধ্যমে মুচলেকা দিয়েও বাড়িতে নিয়ে আবারো পুর্বের ন্যায় অত্যাচার নির্যাতন করতে থাকে। সর্বশেষ পাটকেলঘাটা থানার মাধ্যমে মিসাংসা করে বাড়ি নিয়ে যায় তারা।
এরপর গত ২৩ জুলাই ২২ তারিখে বেলা ১২ টার দিকে জামাতা সুব্রত দাশ আমার কাছে ফোন দিয়ে বলে তোমাদের কন্যা তোমাদের বাড়িতে গেছে এ কথা বলেই ফোন কেটে দেয়। কিন্তু দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হলেও কন্যা বাড়িতে না যাওয়ায় জামাতার নাম্বারে ফোন দিলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। পরে স্থানীয়দের পরামর্শে জামাতার বাড়িতে আসলে তারা আমাদের সাথে খারাপ ব্যবহার করে তাড়িয়ে দিয়ে বলে তোমাদের কন্যা কোথায় গেছে আমি জানি না। পুত্র সন্তানকে রেখে সে বাড়ি থেকে চলে গেছে। এঘটনায় আমরা পাটকেলঘাটা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছি।
জামাতার ভাষ্য অনুযায়ী ২৩ জুলই‘২২ আমার কন্যা বাড়ি থেকে বের হয়েছে। ২৮ জুলাই‘২২ পর্যন্ত সে বাড়িতে ফেরেনি, আমাদের বাড়িতেও যায়নি এমনকি কোন আতœীয় স্বজনদের বাড়িতে যায়নি। তাহলে কোথায় গেল? আমাদের ধারনা ওই মাদকাসক্ত জামাতা অসৎ উদ্দেশ্যে হাসিল করতে তাকে গুম করে রেখেছে। সে বেঁচে আছে কি না তাও জানি না। মারপিট করতে গিয়ে কন্যা তৃপ্তি দাশকে হত্যা করে এমন প্রচার দিচ্ছে কি না। সেটিও বুঝতে পারছি না। আমাদের কন্যার কোন সন্ধান না পেয়ে আমরা চরম উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছি। আমার স্বামীও চরম হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েছে। কন্যা সন্তানের দ্রুত সন্ধান পেতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি।