‘মৌসুমী একজন বয়স্ক অভিনেত্রী’, কথাটি বলেন দেশের প্রধান জনপ্রিয় খল অভিনেতা ও চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সদ্য নির্বাচিত সভাপতি মিশা সওদাগর।
শনিবার (৮ জুলাই) বিকালে বিএফডিসিতে নায়ক ফেরদৌসের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের আগে উপস্থিত একদল সাংবাদিকের সঙ্গে আলাপকালে কথায় কথায় এমনটাই বললেন মিশা। তবে মৌসুমী সম্পর্কে বলতে গিয়ে ‘বয়স্ক’ শব্দটি ব্যবহারের কারণ জানতে চাইলে বেশ ডিপ্লোমেটিক উত্তর দেন এই বর্ষীয়ান অভিনেতা।
তিনি বলেন, ‘‘তার প্রতি ‘সম্মান’ জানানোর জন্যই ‘বয়স্ক’ কথাটি বলেছি। অন্যকিছু নয়। মানে তিনি অনেক ‘সিনিয়র’ অভিনেত্রী। সেই ১৯৯২ সালে ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ ছবি দিয়ে শুরু করেছেন। অনেকদিন ধরেই ইন্ডাষ্ট্রিতে কাজ করছেন। ফলে উনি সব বিষয়েই জানেন, বোঝেন।’’
সাংবাদিকদের সঙ্গে মিশা সওদাগরের এই কথোপকথনের কারণ ছিল সমিতির নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী সদস্য হিসেবে মৌসুমীর শপথ গ্রহণ না করা এবং পদত্যাগ প্রসঙ্গে। কেন মৌসুমী শপথ নেননি? কিংবা তার পদ কি খালিই থেকে যাবে? এমন প্রশ্নের জবাবে মিশা সওদাগর বলেন, ‘দেখুন উনি কলেজ পাশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা (নির্বাচন) দিয়েছেন। পাশও করেছেন আলহামদুলিল্লাহ। কিন্তু আনফরচুনেটলি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হননি। তার মানে তিনি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের (শিল্পী সমিতি) ছাত্রীই নন। কারণ তিনি শপথ গ্রহণ করেননি। যিনি আমাদের ছাত্রী নন তাকে নিয়ে তো আগ বাড়িয়ে ভাবনার কিছু নেই। হুম এটা ঠিক উনি বয়স্ক একজন অভিনেত্রী। উনাকে আমরা সম্মান করি।’
এদিকে মৌসুমী সম্পর্কে এমন কথোপকথনের পর পরই ৮ জুলাই সন্ধ্যায় বিএফডিসিতে আনুষ্ঠানিকভাবে শিল্পী সমিতির কার্যনির্বাহী সদস্য হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন নায়ক ফেরদৌস। তাকে শপথ বাক্য পাঠ করান সভাপতি মিশা সওদাগর।
এদিকে সম্প্রতি একই পদে নির্বাচিত হয়েও শপথ না নিয়ে ইস্তফা দিয়েছেন চিত্রনায়িকা মৌসুমী।
অন্যদিকে নির্বাচনের পর যৌথ প্রযোজনার ছবির অনিয়ম নিয়ে আন্দোলন করে আসছেন শিল্পী সমিতিসহ ১৮টি সংগঠন। কিন্তু ফেরদৌস নিয়মিত যৌথ প্রযোজনার ছবিতে কাজ করে আসছিলেন। পাশাপাশি তিনি নতুন শিল্পী সমিতিতে যোগদান বিষয়ে এতদিন কিছু বলেননি। সব মিলিয়ে অনেকে ধারণা করেছিলেন, ফেরদৌস বোধহয় মৌসুমীর মতোই কমিটিতে আসছেন না। তবে আজ, ৮ জুলাই হঠাৎ শপথ গ্রহণের মাধ্যমে সেই শঙ্কা কেটে গেল।
এদিকে শপথ গ্রহণ শেষে ফেরদৌস বললেন, ‘আমরা কেউ যৌথ প্রযোজনার চচলচ্চিত্রের বিপক্ষে নই। আমরা নিয়ম মেনে কাজ করার পক্ষে। আর বিদেশে থাকার কারণে এতদিন আমার শপথ নেওয়ার সুযোগ হয়নি।’