কলারোয়া ডেস্ক : কলারোয়ার প্রাণকেন্দ্র বাসস্ট্যান্ডস্থ সোনালী ব্যাংক ডাকাতি করতে এসে দুই নৈশপ্রহরীকে (আনসার সদস্য) জবাই করে হত্যার লোমহর্ষক ঘটনার আজ দ্বিতীয় বছর। মামলাটি যেন রয়েছে লাল ফিতায় বন্দি! দীর্ঘ দিন ধরে এই মামলাটির চার্জশিট না হওয়ায় এমনটির দাবী করলেন মামলার বাদি ও নিহত দুই পরিবার। যার কারণে মামলার বাদি ও নিহতের দুই পরিবার সঠিক বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ১৫জুলাই সোনালী ব্যাংকের দুই নৈশপ্রহরীকে (আনসার সদস্য) কুপিয়ে ও জবাই করে হত্যা করেছিল দুর্বৃত্তরা। দিনটি ছিলো বুধবার, ২৭ রমজানের পবিত্র শবে কদরের রাত। সে দিন রাতেই সাতক্ষীরা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয় মামলার দদন্ত ভার। এরপর কিছু ব্যক্তিকে আটক করে জেল হ্জাতে প্রেরণ করেন গোয়েন্দা পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ইমরান হোসেন। সেই বছরেই মামলাটি আবার সিআইডিতে হস্তান্তর করা হয়। বর্তমানে মামলাটি সাতক্ষীরা সিআইডিতে আছে।
এ বিষয়ে মামলার দতন্ত কর্মকর্তা সাতক্ষীরা সিআইডির ইন্সপেক্টর মেজবাহ উদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে জানান, মামলার চার্জশিট দ্রুত দাখিল করবেন। মামলার তদন্তের স¦ার্থে তিনি আর কিছু বলতে রাজি হননি। নিহত আনসার সদস্য কলারোয়া উপজেলার ঝাঁপাঘাট গ্রামের কায়েম হোসেনের ছেলে জাহাঙ্গীর (৩২) ও সাতক্ষীরা সদর উপজেলার হরিশপুর গ্রামের আনারুল ইসলামের ছেলে আসাদ (২৫)।নিহত জাহাঙ্গীর ও আসাদের পরিবার হত্যাকারীদের বিচার দাবি করে দ্রুত চার্জশিট প্রদানের অনুরোধ জানিয়েছেন।
পূর্ববর্তী পোস্ট