গাছ অক্সিজেন ত্যাগ করে এবং কার্বন ডাই অক্সাইড গ্রহন করে। আবার অপরদিকে মানুষ অক্সিজেন গ্রহন করে এবং কার্বন ডাই অক্সাইড ত্যাগ করে। কিন্তু বিজ্ঞানীদের মতে, রাতে গাছ কার্বন ডাই অক্সাইড ত্যাগ করে থাকে।
তবে কিছু কিছু গাছ ভিন্ন ধর্মের ও রয়েছে। যারা রাতেও অক্সিজেন ত্যাগ করতে থাকে। এসকল গাছ ঘরে রাখলে আপনার আশেপাশের পরিবেশ আরও সুন্দর ও স্বাস্থ্যকর করে তোলে।
অ্যালোভেরা: ঘৃতকুমারী বহুজীবী ভেষজ উদ্ভিদ এবং দেখতে অনেকটা আনারস গাছের মত। এর পাতাগুলি পুরু, দুধারে করাতের মত কাঁটা এবং ভেতরে লালার মত পিচ্ছিল শাঁস থাকে। সবরকম জমিতেই ঘৃতকুমারী চাষ সম্ভব, তবে দোঁআশ ও অল্প বালি মিশ্রিত মাটিতে গাছের বৃদ্ধি ভালো হয়। উপকারী গাছের তালিকায় বরাবরই শীর্ঘস্থানটা অ্যলোভেরার দখলে। এই গাছ রাতের বেলা অক্সিজেন নিঃসরণ করে এবং আয়ু বাড়ায়। গাছটির পেছনে কোনো পরিচর্যার প্রয়োজন হয় না। আবার ত্বকের বিভিন্ন উপকারে আসে অ্যালোভেরা।
স্নেক প্ল্যান্ট: অ্যালোভেরা মতো এটিও রাতে অক্সিজেন ছাড়ে। পাতার আকৃতির জন্যই এ ধরনের নাম গাছটির। এক ধরনের বাহারি গাছ। ঘর সাজানোর কাজে আমরা হামেশাই ব্যবহার করে থাকি। সৌন্দর্য বাড়াতে অনেকেই শোবার ঘরেও এদের রাখেন। খুব অল্প আলো আর সমান্য পানি পেলেই এরা বেঁচে থাকতে পারে। এই গাছ যদি ঘরে রাখা যায়, তা হলে ঘরে অক্সিজেনের ঘাটতি হবে না। নাসার বিজ্ঞানীরা একটি সমীক্ষা করে দেখেছেন, ঘরের ভিতর এই গাছ রাখলে নাইট্রোডেন ডাই অক্সাইড এবং ফর্ম্যালডিহাইডের মতো ক্ষতিকারক গ্যাসকে শোষণ করে ঘরকে দূষণমুক্ত রাখে। এর আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ উপকারী দিক হল গাছটি প্রতিনিয়ত কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্রহণ করতে থাকে। তাই ঘরে এই গাছ থাকলে দিন ও রাত মিলবে স্বাস্থ্যকর পরিবেশ।
পিপুল গাছ: রাতে অক্সিজেন-তো ছাড়েই। পাশাপাশি ডায়াবেটিক, কোষ্ঠকাঠিন্য ও হাঁপানি নিয়ন্ত্রণে রাখতেও কার্যকর এটি।
নিম গাছ: নিমের গুণাগুণ আছে অসংখ্য। যার মধ্যে একটি হল রাতে অক্সিজেন সরবরাহ। বাড়ির ভেতরে উঠানে নিম গাছ রোপনের পরামর্শ দেওয়া কারণ নিম গাছ কাজ করে প্রাকৃতিক কীটনাশক হিসেবে।
অর্কিড: সুন্দর এবং উপকারী এই উদ্ভিদ বিছানার পাশে রাখার জন্য আদর্শ। রাতে অক্সিজেন নিঃসরণের পাশাপাশি রংয়ের মধ্যে থাকা ‘জাইলিন’ নামক দূষিত উপাদান দূর করে। ফলে ঘর সর্বদা সতেজ বাতাসে পরিপূর্ণ থাকে।-সূত্রঃ টাইম্স অফ ইন্ডিয়া।