ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি (কালিগঞ্জ) : চাচার জনতাব্যাংকের চেকের তিনটা পাতা চুরি করে ব্যাংকের এ্যাকাউন্টে কত টাকা আছে জানতে যেয়ে জনতা ব্যাংকের গোপন ক্যামেরায় ধরা খেল এলাকার আলোচিত চোর মোঃ আনিছুর কারিগর। ঘটনা টি ঘটেছে মথেরেশপুর ইউনিয়নের উজায়মারি গ্রামে। স্থানীয় সুত্রে জানাযায় উজয়মারি গ্রামের মৎস্য ব্যবসায়ী সাথী ফিসের মালিক পিয়ার আলী কারিগর এর জনতা ব্যংকের সাথী ফিস নামের একাউন্টের তিনটি চেক বইয়ের পাতা তার নিজ বাড়ির আলমারির ড্রয়ার থেকে গত ২-১০-২০১৬ তারিখে চুরি হয়ে যায়। তিনি তার দুই দিন পরে চেক বই দেখে বুঝতে পারেন ভিতর থেকে তিনটি পাতা চুরি হয়ে গেছে। তিনি কাউকে কিছু না জানিয়ে জনতা ব্যাংকের কালিগঞ্জ শাখার পরিচালক মোঃ রবিউল ইসলাম কে অবহিত করেন। এসময় পরিচালক সাথে সাথে অন্য অফিসারদের ডেকে খোঁজনেন সাথী ফিসের একাউন্ট সম্পর্কে কোন ব্যাক্তি কোন খোঁজ নিতে এসে ছিল কিনা। এ সময় জনতা ব্যাংকের কালিগঞ্জ শাখার লোন অফিসার এস,এম, শরিফ রায়হান বলেন দুইজন ব্যক্তি আমার কাছে ৪-১০-২০১৬ তারিখে জানতে এসেছিলেন সাথী ফিসের এ্যাকাউন্টে কত টাকা আছে। পিয়ার আলী সাহেব আমার পরিচিত হওয়ায় আমি তাদেরকে বলেছিলাম এটাতো আপনার একাউন্ট না আপনাকে বলা যাবেনা এই একাউন্টে কত টাকা আছে এই কথা শুনে ওনারা চলে যায়। তখন কালিগঞ্জ শাখার পরিচালক বলেন ৪ তারিখের গোপন ক্যামেরায় ধারণকৃত ভিডিও দেখলে পিয়ার সাহেব আপনার এলাকার ব্যাক্তি হলে আপনি হয়ত চিনতে পারবেন। গোপন ক্যামেরায় ধারণকৃত ভিডিও দেখে সাথী ফিসের মালিক হয়ে হতবাক হয়ে যান। কারণ চেকের পাতা চোর আর কেউ নয় পিয়ার আলীর আপন চাচাত ভাইয়ের ছেলে এলাকার আলোচিত চোর আনিসুর। পিয়ার আলীর বাড়ী থেকে শুধুই চেকের পাতা চুরি করে নি আনিসুর দেড় বছর আগে পিয়ার আলীর বাড়ির আলমারি ভেঙ্গে দুইটি গলার সোনার চেইন,দুইটি সোনার আংটি,তিনটা নাকফুল চুরি করে তার বাড়ির পাশে বসবাসরত চোর ভাইপো আনিসুর। লোক লজ্জার ভয়ে কাউকে কিছু না জানিয়ে চোর ভাইপো কে নিয়ে এলাকার স্থানীয় ইউপি সদস্য মনোয়ার হোসেন কে নিয়ে এবং এলাকার দুই চার জন গন্যমান্য ব্যাক্তিদের নিয়ে গত ৪ তারিখে রাত ৯ টার সময় বিচারে বসে পিয়ার আলী। সেখানে চোর আনিসুর সকলের সামনে চেকের পাতা চুরি ও দেড় বছর আগে স্বর্ণ চুরির বিষয়ে স্বীকার করে। এই সময় স্থানীয় ইউপি সদস্য উজায়মারি গ্রামের চোর আনিসুরকে ৮০হাজার টাকা জরিমানা করেন। এ বিষয়ে সাথী ফিসের মালিক পিয়ার আলীর কাছে চেকের পাতা এবং দেড় বছর আগে তার বাড়ি স্বর্ণ চুরি হওয়ার বিষয় জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন এটা আমাদের নিজেদের বিষয় আমাদের মিমাংসা হয়ে গেছে এ বিষয় নিয়ে লেখা লেখি না করার জন্য সাংবাদিকদের অনুরোধ করেন তিনি। বিচারে ৮০ হাজার টাকা জরিমানার বিষয়ে ইউপি সদস্য মনোয়ার হোসেন এর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান দের বছর আগে স্বর্ণ চুরি করার জন্য আঁশি হাজার টাকা জরিমানা করেছি। কিন্তু এখন ও জরিমানার টাকা আনিসুর তার চাচা পিয়ার আলী কে দেয়নি তবে একটা সময় বেধে দেওয়া হয়েছে নির্ধারিত সময়ের মধ্য আনিসুর কে জরিমানার টাকা পরিষোধ করতে হবে। এই চেকের পাতা চুরি ও দেড়বছর আগে স্বর্ণ চুরি নিয়ে এবং স্থানীয় ইউপি সদস্যর বিচারে চোর আনিসুর কে পুলিশে না দিয়ে ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করায়,স্থানীয় জনগনের মধ্যে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
পূর্ববর্তী পোস্ট