রোহিঙ্গা গণহত্যার বিচারে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যাওয়া যায় বলে মনে করছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। একই সঙ্গে বর্তমানে রোহিঙ্গাদের মানবিক দিক বিবেচনা করে মিয়ানমারকে আন্তর্জাতিকভাবে চাপ প্রয়োগ করার পক্ষে মত দেন আইনমন্ত্রী।
শনিবার রাতে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল’র ‘মুখোমুখি আইনমন্ত্রী আনিসুল হক’ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
রোহিঙ্গা গণহত্যার বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক আদালতে যাওয়ার বিষয়ে সরকারের উদ্যোগের বিষয়ে জানতে চান উপস্থাপক। আইনমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আমরা যেতে পারি, বা যাওয়া যায়। সেটা সম্বন্ধে আমি নিশ্চয় দ্বিমত পোষণ করব না। তবে আমাদের প্রথম কাজ হলো তাদের (রোহিঙ্গা) মানবিক দিকটা দেখা। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যেকোনো সময় যাওয়া যাবে। সেখানে সময় বেঁধে দেয়া নেই।
আইনমন্ত্রী বলেন, এখন আমাদের প্রথম কাজটা কী? তাদের যে মানবেতর অবস্থা, শুধু যারা একাত্তর দেখেছি, তারা বুঝতে পারি। সে জন্যই এত দুর্বলতা তাদের প্রতি। উচ্চ আদালতে বিচারক অপসারণের ক্ষমতা নিয়ে এত চেষ্টা কিন্তু নিয়োগ নিয়ে সে রকম দেখা যায় না- উপস্থাপকের এমন মন্তব্যের জবাবে আইনমন্ত্রী জানান, বিচারপতিদের নিয়োগের বিষয়ে একটি নীতিমালা তিনি লিখছেন। তিনি বলেন, ‘উচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বচ্ছ করার উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে একটা আইনের খসড়া প্রস্তুত করছি।’
ষোড়শ সংশোধনীর রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ করার বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, আমরা চাইব রায়ে যে অপ্রাসঙ্গিক বিষয়গুলো বলা হয়েছিল, সেগুলো এক্সপাঞ্চ করা হোক। তবে রিভিউর যেকোনো রায় সরকার মেনে নেবে বলে জানান আইনমন্ত্রী। বলেন, দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। সেখানে যদি রিভিউ খারিজ হয়ে যায় তাহলে আমাদের সেটা মেনে নিতে হবে। রিভিউ আমাদের সাংবিধানিক অধিকার। রিভিউ করার সুযোগ রয়েছে, তাই আমরা সুযোগটা নিচ্ছি।’