নিজস্ব প্রতিবেদক: কলারোয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও কয়লা ইউনিয়ন পরিষদের সভাপতি শেখ ইমরান হোসেনর উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ইমরান হোসেন বাদি হয়ে কলারোয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগে কলারোয়া উপজেলা ছাত্রলীগের পদ প্রত্যাশী মো. আবু সাঈদ, শেখ মারুফ আহমেদ জনি ও শাকিল খান জজকে আসামি করা হয়েছে।
শনিবার বিকাল ৪টার দিকে কলারোয়া কাছারী মসজিদের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এতে মারাত্মক আহত হয়ে কলারোয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান ও কলারোয়া উপজেলা তরুণলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল হোসেন।
আহত শেখ ইমরান হোসেন জানান, শুক্রবার রাতে জেলা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে হঠাৎ আমাদেরকে ফোনে জানানো হয় শনিবার উপজেলা ছাত্রলীগের বর্ধিত সভা করতে হবে। সে মোতাবেক আমরা শনিবার বিকালে কলারোয়া কাছারী মসজিদ এলাকায় বর্ধিত সভার আয়োজন করি। সভায় আমি সভাপতির বক্তব্যে স্পষ্টভাবে বলি যে, ভবিষ্যতে কলারােয়া উপজেলা ছাত্রলীগের যে কমিটি হবে সেখানে যেন কোনভাবে কোন মাদকাসক্তকে স্থান দেয়া না হয়। জননেত্রী শেখ হাসিনার সারাদেশের মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন। সুতরাং, ছাত্রলীগও যেন বিষয়টি খেয়াল রাখে। কোন মাদকাসক্ত দিয়ে ছাত্রলীগের কমিটি করা হলে কলারোয়ার ছাত্রলীগ তা মেনে নেবে না। আমার এ বক্তব্যে পদ প্রত্যাশী তিন চিহ্নিত মাদকাসক্ত সাঈদ, জনি ও শাকিল অসন্তুষ্ট হয়ে থাকবে। আমরা শুনেছি এরা টাকা-পয়সা বিনিময়ে ছাত্রলীগের মত ঐতিহ্যবাহী সংগঠনের নেতৃত্ব কেনার চেষ্টা করছে। এরাই পরবর্তীতে সংঘবদ্ধ হয়ে আমার উপর সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে।
উল্লেখ্য, বেশ কিছুদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কিছু ভিডি ছড়িয়ে পেেড়ছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে কলারোয়া উপজেলা ছাত্রলীগের নেতৃত্ব চাওয়া সাঈদ, জনি ও শাকিল বিভিন্ন নেশা জাতীয় দ্রব্য সেবন করছে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় ওঠে।