নিজস্ব প্রতিনিধি : নিরবে নিভৃতে চলে গেলেন কলারোয়ার মুরারীকাটির পালপাড়া যুদ্ধের সময় বেঁচে যাওয়া এক ব্যক্তি।
মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় মুরারীকাটির পালপাড়ায় হানাদারদের নৃশংস হত্যাযজ্ঞে ভাগ্যের জোরে যে ৩জন বেঁচে যায় তার মধ্যে শিবু পাল ছিলেন একজন। গত ৭জুন রাত পৌনে ৯টার দিকে তিনি মারা যান। শুক্রবার ৮জুন সকালে মুরারীকাটি শশ্মানঘাটে তাঁর শেষকৃত্য হয়।
শিবু পাল, কলারোয়ার পালপাড়া গণহত্যার সময় বেঁচে যাওয়া প্রত্যক্ষদর্শী। ৭১’এ মহান মুক্তিযুদ্ধোর সময় এপ্রিলের ২৯ তারিখে পাকহানাদার বাহিনী ও তাদের দোসরদের হাতে ৬জন শহীদ হন। আহত হন আরো ২/৩জন। তাদের মধ্যে শিবু পাল একজন। মৃত্যুর সময় বয়স হয়েছিলো ৮০বছরের উপরে। শিবু পালের পিতার নাম স্বর্গীয় মানদার পাল। স্ত্রীর নাম শান্তি পাল। সন্তানের নাম জগবন্ধু পাল ও শ্যামপদ পাল। শেষ বষসে তিনি টালি কারখানায় কাজ করতেন।
জানা গেছে- যুদ্ধে বেঁচে যাওযার সময় হানাদারদের বেয়েনেট’র খোচায় বুকে মারাত্মক আঘাত পেয়ে আহত হয়েছিলেন। প্রচার বিমুখ যুদ্ধাহত ব্যক্তিটির খোঁজ অনেকে রাখতেন আবার অনেকে জানতেন-ই না। আর্থিক অস্বচ্ছলতা আর জীবনযুদ্ধে শেষ পর্যন্ত টিকে থাকার লড়াইয়ে ছিলেন অটুট। আর মৃত্যুর পরও অনেকের অজানায় চলে গেলে না ফেরার দেশে।
সূত্র জানায়- শেষ তিনবার শিবু পাল বয়স্কা ভাতা পেয়েছিলেন। পালপাড়া গণহত্যায় বেঁচে যাওয়া ২জনের মধ্যে শিবু পালের মহাপ্রয়ান হওয়ায় এখনমাত্র বেঁচে আছেন তৈলক্ষ্ম পাল।
দেশ স্বাধীনের জন্য বুকের তাজা রক্ত দেয়া প্রয়াত শিবু পালের জন্য রইলো বিনম্র শ্রদ্ধা।