নিজস্ব প্রতিনিধি: সোমবার সকাল থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টিতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে কলারোয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকার রাস্তাঘাট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ফসলি মাঠসহ অন্যান্য স্থান।
২৫শে জুন সোমবার সকাল ৮টা থেকে মাঝারি,মূসলধারে ও থেমে থেমে বৃষ্টিপাতে জনজীবন সাময়িক স্থবির হয়ে পড়ে।
অনেক মানুষ কর্মসংস্থানে যাওয়ারও সুযোগ পাননি। অনেকটা অলস সময় পার করেছেন তারা।
দিনভর অঝোরে ঝরতেই থাকে হালকা মেঘের বৃষ্টির খেলা।
জানা যায়- কলারোয়া পৌরসদরের বেত্রাবতী হাইস্কুলসহ উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চত্বর, খোরদো বাজার কেন্দ্রিক জামে মসজিদের মেইন সড়ক, গোপিনাথপুর এলাকার ফসলি মাঠ ও অন্যান্য স্থান পানিতে থৈথৈ অবস্থা। অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের খেলার মাঠ যেনো এখন পুকুরে রূপ নিয়েছে। প্রয়োজনীয় ড্রেনেজ ব্যবস্থা অপ্রতুল্যতা, পানি নিষ্কাষনের ব্যবস্থা না থাকা কিংবা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া পানি নিষ্কাষন না হওয়ায় পানিবন্দি হয়ে পেেছ এসকল স্থান।
অনেকে জানান- কলারোয়া পৌরসভা ও উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের গুররুত্বপূর্ণ বাজারগুলোতে যে ড্রেনেজ ব্যবস্থা আছে, সেগুলোর অবস্থা অত্যন্ত নাজুক। অনেক ড্রেনগুলোর অস্তিত্বও খুজে পাওয়া দায়। আর ফসলি মাঠে যত্রতত্র মাছের ঘের ও মাত্রাতিরিক্ত পানি নিষ্কাষনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকায় জলাবদ্ধ হয়ে পড়ছে আবাদি জমি। এর সাথে যোগ হয়েছে ভরা বর্ষা মৌসুমেও কলারোয়ার নদ, নদী ও খালগুলোর বেহলা অবস্থাও। কপোতাক্ষ নদ ও বেত্রবতী নদীতে পানি প্রবাহ নেই বললেই চলে। বেত্রবতীর অবস্থা যেন মৃতপ্রায়। উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কয়েকটি খালের নিশানা পাওয়া দূষ্কর। খালগুলো ব্যক্তিস্বার্থে বেদখল হয়ে পড়েছে কিংবা ভরাট হয়ে ড্রেনের মতো গর্তও নেই। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই পানি প্রবাহ ব্যাহত ও বন্ধ হয়ে পড়ায় মাঝারি কিংবা একটু ভারি বর্ষনেই জলাবদ্ধ হয়ে পড়ছে বিভিন্ন এলাকা।
বছরের পর বছর বর্ষা মৌসুমে এমন ভোগান্তি হওয়ায় সাময়িক বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হলেও কাজের কাজ বা স্থায়ী ফলপ্রসু সুফল পান না ভূক্তভোগিরা। তাদের দাবি- জলাবদ্ধতা নিরসনে মাস্টার প্লান করে দীর্ঘস্থায়ী সমাধান করা হোক অচিরেই।
বৃষ্টির খেলায় পানিবন্দি কলারোয়ার বিভিন্ন এলাকা
পূর্ববর্তী পোস্ট