দেশের খবর: জাল ভোট দিতে দেখে ‘প্রতিবাদ করায়’ নৌকার সমর্থকদের হামলার শিকার হওয়ার অভিযোগ করেছেন বরিশালে বাসদের মেয়র প্রার্থী মনীষা চক্রবর্ত্তী।
তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে জানানো হলেও কোনো ফল হয়নি।
সকাল ৮টার দিকে নগরীর অক্সফোর্ড মিশন স্কুলে কেন্দ্রে নিজের ভোট দেন মই প্রতীকের প্রার্থী মনীষা। পরে ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্র পরিদর্শনে যান তিনি।
বেরিয়ে এসে বাসদের প্রার্থী সাংবাদিকদের বলেন, ভেতরে ‘নৌকায় জালভোটের অনেকগুলো ব্যলট’ দেখতে পেয়ে প্রতিবাদ করায় আওয়ামী লীগ সমর্থকদের হামলার মুখে পড়েন তিনি।
পেশায় চিকিৎসক এই তরুণ রাজনীতিবিদ বলেন, হামলায় তিনি পিঠে ‘মারাত্মক আঘাত’ পেয়েছেন। তার হাতের একটি নখও ‘ভেঙে গেছে’।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ৬৬ নম্বর কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা প্রভাস কুমার মণ্ডল মনীষার দিকেই অভিযোগের আঙুল তোলেন।
তিনি বলেন, “১৫/২০ জন নারী পুরুষ নিয়ে এসে উনি পরিকল্পিতভাবে কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছেন। এখানে অনিয়মের কিছুই হয়নি। তিনি একটি বুথে ঢুকে ব্যালট পেপার ছিঁড়ে চলে গেছেন। আমরা তার আচরণে হতভম্ব।”
মনীষা সাংবাদিকদের বলেন, “সকালে ভোট শুরুর আধাঘণ্টার মধ্যে আমরা খবর পাচ্ছিলাম- শ খানেক কেন্দ্রে সিল টাকানো (মারা) হচ্ছে। মেয়রের ভোট দেওয়ার জন্য ভোটারদের ব্যালট দেওয়া হচ্ছে না। এখানে সদর গার্লসে (৬৬ নম্বর কেন্দ্র) এসে আমরা দেখলাম সমস্ত ব্যলটে মেয়রের সিল নৌকায় দেওয়া। আমরা যখন ব্যলট দেখতে গেলাম, প্রিজাইডিং অফিসারকে আমরা জানালাম, উনি কিচ্ছু করলেন না। উনি জাস্ট বসে থাকলেন “
‘হামলার’ বিবরণ দিতে গিয়ে বাসদের এই প্রার্থী বলেন, “আওয়ামী লীগের ব্যাজ পরা দুইজন লোক, একজন নীল শার্ট পরা আরেকজন পাঞ্জাবি পরা, দুজনই বেশ লম্বা… তারা আমাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়েছে। আমার হাত থেকে ব্যালট নিয়ে ছিঁড়ে ফেলেছে।”
মনীষা বলেন, “সদর গার্লস স্কুল, একে স্কুল- এগুলো বরিশালের একেবারে প্রাণকেন্দ্রে। এখানে যদি এই পরিস্থিতি হয় তাহলে সার্বিক পরিস্থিতি সহজেই বোঝা যায়। আমাদের এজেন্টদের বের করে দেওয়া হচ্ছে। নির্বাচন কমিশন এখন কী নির্বাচন করছে সেটাই এখন দেখার বিষয়।”