আশাশুনি ব্যুরো: গত ৭ আগষ্ট মঙ্গলবার আশাশুনি উপজেলার বড়দল ইউনিয়নের সুদে মহাজনদের বিরুদ্ধে তাদের চড়া সুদের ছোবলে একাধিক অসহায় পরিবার নিঃশ্ব হওয়ার সংবাদ প্রকাশে এলাকার সকল শ্রেণী পেশার মানুষের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে ব্যপক সমালোচনার ঝড় বইতে দেখা গেছে। সুদে মহাজনদের নাম উল্লেখ করে তাদের আসল মুখোশ সর্ব সাধারনের সন্মুখে উন্মক্ত করায় স্থানীয় সাংবাদিককে ফোনে দেখে নেয়ার হুমকি দিয়েছেন এক সুদে মহাজন। এ প্রতিবেদককে তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশে সহায়তা কারী, চড়া সুদের টাকা দিতে না পেরে পরিবার থেকে পালিয়ে বেড়ানো আছাদুল সরদারের স্ত্রী মুর্শিদা বেগমকে চেকের মামলার ভয় দেখিয়ে সাংবাদিককে তথ্য দেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করার জন্য চাপ প্রয়োগ করছেন কেয়ারগাতী গ্রামের অমেদ আলীর পুত্র বাজারের সানমুন টেলিকমের মালিক আছাফুর রহমান। মুর্শিদা বেগম মুঠো ফোনে এ প্রতিবেদককে জানান, আছাফুর তাকে ফোনে এবং তার স্বামীর বড় ভাইদের মাধ্যমে বিভিন্ন ভাবে মামলার ভয় দেখিয়ে সাংবাদিকদের তথ্য দেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করার জন্য চাপ প্রয়োগ করছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক সাংবাদিক জানান, যাদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে তারা তাকে যে সাংবাদিক সংবাদ প্রকাশ করেছে তার নাম বলার জন্য বিভিন্ন ভাবে চাপ প্রয়োগ করছেন। সাংবাদিকের নাম না বললে দেখে নেয়ার হুমকি ও দিয়ে চলেছেন। আছাদুলের মাতা মুর্শিদার শ্বাশুড়ী প্রতিবেদককে জানান, আছাদুল সুদের টাকা দিতে না পেরে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। তিন সন্তান, স্ত্রী ও আমি সব মিলে ৫টি প্লেটে ভাত বাড়তে হয় তিন বেলা। তার একটি হাত ভেঙে গেছে চিকিৎসার জন্য টাকার দরকার সব মিলিয়ে তারা খুব অসহায়। এদিকে সংবাদ প্রকাশের পর অনেকে অভিযোগ করেছে গোয়ালগাংগা বাজারের গীতাঞ্জলী জুয়েলার্সের মালিক বিশ্বনাথ শীল কয়েক জনকে বড় অংকের লাভের আশা দেখিয়ে তাদের স্ব স্ব নামে বিভিন্ন সমিতি থেকে টাকা তুলে নিয়ে সে সুদে বসিয়ে দেয়। বিশ্বনাথ তাদেরকে বলেছিল টাকা পরিশোধ না হওয়া পর্যন্ত প্রতি কিস্তি টাকা সে সুদের টাকা থেকে দিয়ে দেবে। বছর শেষে আসল টাকা সবাইকে পিরিয়ে দিবে। কিন্তু আসল টাকা তো দুরের কথা তিন/ চার কিস্তি দেয়ার পর আর কাহরো খোজ সে রাখেনি। এলাকার সচেতন মহলের দাবি উল্লেখিত সুদখোরদের বাহিরেও কিছু সুদখোর বর্তমানে বড়দলের বিভিন্ন এলাকায় তাদের কারবার চালিয়ে যাচ্ছে। এ সুদের টাকা আদাই করাকে কেন্দ্র করে বহু অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে এবং ভবিষ্যতে ঘটার সম্ভবনা আছে। বিষয়টি আমলে নিয়ে এ এলাকার সুদখোরদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন এলাকার সকল শ্রেণি পেশার মানুষ।