দেশের খবর: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের মামলায় গ্রেফতার দৃক গ্যালারির প্রতিষ্ঠাতা ও আলোকচিত্রী শহীদুল আলমের জামিন শুনানি শুনতে বিব্রতবোধ করেছেন হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ।
মঙ্গলবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি খন্দকার দিলীরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বিব্রতবোধ করেন।
আদালতে শহিদুল আলমের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার সারা হোসেন। তার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। আর রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মহিউদ্দিন দেওয়ান।
নিরাপদ সড়কের দাবিতে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলাকালে গত ৪ আগস্ট ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ছাত্র হত্যা ও ছাত্রী ধর্ষণের গুজব ছড়ানো হয় পরিকল্পিতভাবে। ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে এই গুজব ছড়িয়ে যে পরিস্থিতি তৈরির পরিকল্পনা ছিল তা অবশ্য সফল হয়নি।
এই গুজব ছড়ানোর ঘটনায় পাঁচ নারী, শিক্ষার্থীসহ বহুজন আটক হয়েছে। আটকদের মধ্যে আছেন প্রখ্যাত আলোকচিত্রী শহিদুল আলম।
গত ৫ আগস্ট রাতে ধানমন্ডির বাসা থেকে শহিদুল আলমকে তুলে নেয় ডিবি। এরপর নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে ‘উস্কানিমূলক মিথ্যা’ প্রচারের অভিযোগে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পরদিন এই মামলায় শহিদুল আলমকে সাত দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। এরপর গত ১২ আগস্ট তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের মামলায় শহিদুল আলমের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
১৪ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে জামিন আবেদন করা হলে ১১ সেপ্টেম্বর শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন। এরপর ১৯ আগস্ট শুনানির তারিখ এগোনোর জন্য আবেদন করা হলে তা গ্রহণ করেননি আদালত। ২৬ আগস্ট শহিদুল আলমের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন চাইলে ওই আদালত শুনানির জন্য তা গ্রহণ করেননি। এ অবস্থায় ২৮ আগস্ট হাইকোর্টে তার জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়। ২৯ আগস্ট আবেদনটি শুনানির জন্য আরজি জানানো হয়। আদালত এ ধরনের ক্ষেত্রে উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত দাখিল করতে বলেন।
গতকাল শহিদুল আলমের পক্ষে জামিনের আবেদন হাইকোর্টের কার্যতালিকায় থাকলেও জামিন শুনানির জন্য মঙ্গলবার দিন নির্ধারণ করেন হাইকোর্ট।