খেলার খবর: শ্রীলংকার এশিয়া কাপ শুরু হয়েছে বাংলাদেশের কাছে ১৩৭ রানের শোচনীয় হারের মধ্যদিয়ে। এমনিতে শ্রীলংকার সাম্প্রতিক ওডিআই পারফরম্যান্স সুখপ্রদ নয়।
গত ১৮ মাসে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তারা যত ওডিআই খেলেছে তার অর্ধেক ম্যাচে হার হয়েছে তাদের সঙ্গী। আর ভারত, পাকিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হেরেছে ওয়ানডে সিরিজ।
আজ আফগানিস্তান কি পারবে অঘটন ঘটাতে? শ্রীলংকাকে হারাতে? প্রশ্নটা তর্কযোগ্য। তবে রশিদ খানের মতো লেগ-স্পিনার যাদের সম্পদ, সেই আফগানদের স্পিন-ঐশ্বর্য আরও ঋদ্ধ হয়েছে মুজিব-উর-রাহমান ও মোহাম্মদ নবীর মতো খেলোয়াড়ের দরুন।
জীবন-মরণ ম্যাচে না জিতে উপায় নেই শ্রীলংকার। এমন ম্যাচে অফ-স্পিনার আকিলা দনানজয়াকে পাওয়াটা চন্ডিকা হাথুরুসিংয়ের জন্য স্বস্তির বিষয়। তার প্রথম সন্তানের আগমনে বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচে খেলতে পারেননি তিনি। এ বছর সব ফরম্যাটে আকিলাই শ্রীলংকার খেলোয়াড়দের মধ্যে সবচেয়ে ধারাবাহিক। লাসিথ মালিঙ্গার প্রত্যাবর্তনে লংকানদের শক্তি বেড়েছে। আফগানিস্তানের তুলনায় তাই অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসরা শক্তিতে এগিয়ে। তাই বলে আফগানদের হালকাভাবে নেয়ার কোনো প্রশ্নই ওঠে না।
এবারের এশিয়া কাপের তৃতীয় ম্যাচের ভেন্যু আবুধাবি। দুবাইয়ের মতো সেখানেও প্রচণ্ড গরম। তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপর। রাতে শিশির পড়ে। পরে ফিল্ডিং করা দলের বোলারদের গ্রিপ ঠিক রাখা কষ্টকর। শ্রীলংকার জন্য প্রেরণা হতে পারে এই ফরম্যাটে আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেলা দুটি ম্যাচেই পাওয়া জয়। এরমধ্যে দ্বিতীয় জয়টি চার উইকেটে। ২০১৫ বিশ্বকাপে।
আজ শ্রীলংকার বাঁচা-মরার লড়াই
পূর্ববর্তী পোস্ট