দেশের খবর: কোনো অস্বাভাবিক পরিস্থিতি না হলে আগামী ডিসেম্বরেই হবে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এ লক্ষ্যে নিজেদের প্রার্থী চূড়ান্ত করছে রাজনৈতিক দলগুলো। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগসহ বিএনপি, জাতীয় পার্টি এমনকি ছোট ছোট দলগুলোও বসে নেই। এসব রাজনৈতিক দলে মনোনয়ন পেতে দৌড়-ঝাপ শুরু করেছেন শতাধিক উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ী। এর মধ্যে বেশিরভাগই তরুণ। সংসদ সদস্য হওয়ার এই খায়েশের তালিকায় রয়েছেন স্বর্ণ কারবারি, গার্মেন্ট মালিক, ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও পরিচালক। তারা মাঠপর্যায়ে পেস্টারিং, কেন্দ্রে জোর লবিং চালাচ্ছেন।
এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ , বিকেএমইএ এবং বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালক, চেয়ারম্যানদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য জানা গেছে।
মনোনয়ন চান এফবিসিসিআই সংশ্লিষ্ট যারা
ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) বর্তমান পরিচালকের অনেকেই মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন। এর বাইরে সাবেকরাও রয়েছেন।
মনোনয়েনর দৌড়ে এগিয়ে আছেন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি খাতবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। তিনি দোহার-নবাবগঞ্জ নিয়ে গঠিত ঢাকা-১ আসনে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হতে চান।
মানিকগঞ্জ-৩ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী ব্যবসায়ী নেতা, এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক তাবারাকুল মোসাদ্দেক হোসেন খান টিটু। এরই মধ্যে নির্বাচনী এলাকার শহরে ও গঞ্জের মূল পয়েন্টগুলোতে ছবি সংবলিত রঙ-বেরঙের বিলবোর্ড-ব্যানার-ফেস্টুন লাগিয়ে প্রচার-প্রচারণা শুরু করেছেন। যদিও এ আসনে বর্তমান এমপি, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপনও মনোনয়নপ্রত্যাশী।
টিটু বলেন, আমি আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশা করি। মনোনয়ন পেলে স্থানীয় জনগণের উন্নয়নে মনোনিবেশ করবো। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে এ দেশকে সোনার বাংলায় পরিণত করতে সর্বোচ্চ আত্মনিয়োগ করবো।
টাঙ্গাইলের কালিহাতি থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী এফবিসিসিআইয়ের অপর পরিচালক আবু নাসের। ইসলাম নিয়ে কটূক্তি করায় মন্ত্রীর দ্বায়িত্ব থেকে অব্যাহতি পাওয়া আবদুল লতিফ সিদ্দিকীও এই আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী।
মনোনয়নের বিষয়ে আবু নাসের বলেন, ৩৬ বছর থেকে রাজনীতি করছি। নিজেকে একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবেই পরিচয় দিতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। এলাকার তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে আমার গভীর সম্পর্ক রয়েছে। আমি বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডেও জড়িত। এই আসনে আমি এবার মনোনয়ন পেলে বিজয় কেউ ঠেকাতে পারবে না। সেভাবেই তৃণমূল সংগঠনকে শক্তিশালী করেছি।
এফবিসিসিআইয়ের আরও যেসব পরিচালক মনোনয়ন প্রত্যাশী, তাদের মধ্যে রয়েছেন- স্বর্ণ ব্যবসায়ী দিলিপ কুমার আগারওয়াল। তিনি চুয়াডাঙ্গা সদর আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী।
আবু নাসের, বজলুর রহমান, মাসুদ পারভেজ খান, রেজাউল করিম রেজনু, সালাম মুর্শেদী, শমী কায়সার
এফবিসিসিআইর পরিচালক মোহাম্মদ বজলুর রহমান নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও এলাকা থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যশা করছেন।
আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন চান আরেক পরিচালক রেজাউল করিম রেজনু। তিনি জামালপুর সদরে নির্বাচন করতে চান। এ ছাড়া আবারও মনোনয়ন চাইবের এফবিসিসিআইয়ের সাবেক নেতা খুলনা- ৪ আসনের এমপি আবদুস সালাম মুর্শেদী।
হঠাৎ আলোচনায় আশা এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক কাজী এরতেজা হাসান ও অভিনেত্রী শমী কায়সারও রয়েছেন মনোনয়ন প্রাপ্তীর আশায়। আওয়ামী লীগ থেকে সাতক্ষীরায় নির্বাচন করতে চান এরতেজা এবং নোয়াখালীর সংরক্ষিত মহিলা আসন থেকে প্রার্থী হতে চান শমী কায়সার। আগামী নির্বাচনে কুমিল্লা থেকে এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক মাসুদ পারভেজ খান (ইমরান) মনোনয়ন প্রত্যাশী।
বিএনপি থেকে নির্বাচন করতে চান এই ব্যবসায়ী সংগঠনটির পরিচালক আবু মোতালেব। তিনি ঢাকার লালবাগ থেকে নির্বাচন করতে চান। এ জন্য কেন্দ্রের সঙ্গে তিনি যোগাযোগও করছেন বলে জানা গেছে।
ময়মনসিংহ সদর আসনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন চান এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক আমিনুল হক শামীম। গাজীপুর থেকে নির্বাচন করতে চান এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক ও গাজীপুর চেম্বারের সভাপতি আনোয়ার সাদাত সরকার। তিনিও আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন চান।
কুমিল্লা-২ আসনে (হোমনা ও তিতাস) আগামী নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন নিটল-নিলয় গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ উইমেন্স চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি ও নারী উদ্যোক্তা সেলিমা আহমাদ।
বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ’র যারা
অন্যদিকে তৈরি পোশাক খাতের সংগঠন বিজিএমইএ (বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারক সমিতি) এবং বিকেএমইএ (বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার অ্যান্ড এক্সপোর্টারস অ্যাসোসিয়েশন) নেতারাও মনোনয়ন প্রত্যাশার দৌড়ে রয়েছেন।
আগামী সংসদ নির্বাচনে এই দুই সংগঠন থেকে বেশকিছু নতুন মুখ দেখা যাবে। এর মধ্যে বিজিএমইএর সহ-সভাপতি মোহাম্মদ নাছির রয়েছেন। তিনি চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে লড়তে চান।
বিজিএমইএর সহ-সভাপতি এস এম মান্নান কচি আওয়ামী লীগের মনোনয়নে ঢাকা ১৬ থেকে নির্বাচন করতে চান। বিজিএমইএর অপর সহ-সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বাবু চুয়াডাঙ্গা-২ আসন থেকে বিএনপি থেকে মনোনয়ন চাইবেন।
নরসিংদী-৪ (বেলাবো ও মনোহরদী) থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চাইবেন বিকেএমইএর সাবেক প্রথম সহ-সভাপতি আসলাম সানি।
ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের যারা আছেন
এবার আসা যাক, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের দিকে। প্রায় অর্ধশত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের উদ্যোক্তা পরিচালক রয়েছেন এই কাতারে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাবেক সভাপতি ও সন্ধানী লাইফ ইন্সুরেন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহসানুল ইসলাম টিটু আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী। টাঙ্গাইল- ৬ আসনে (নাগরপুর- দেলদুয়ার) নির্বাচন করতে চান তিনি।
তিনি বলেন, গত ১০ বছর থেকে আমার আসনের তৃণমূল নেতাকমর্মীদের সংগঠিত করে আসছি। এ ক্ষেত্রে দলকে তৃণমূলে শক্তিশালী করতেও কাজ করেছি এবং সফল হয়েছি।
তিনি বলেন, এলাকায় মসজিদ, মন্দির , মাদরাসা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে অংশ নিয়েছি। এসব কারণে এলাকাবসী আমাকে অনেক পছন্ন করেন। আশা করি, দেশনেত্রী ও প্রধানমন্ত্রীও বিষয়টি বিবেচনায় নেবেন।
ফরিদপুর-১ (আলফাডাঙ্গা, বোয়ালমারী ও মধুখালী) আসন থেকে নির্বাচন করতে আগ্রহী রূপালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান মনজুর হোসেন। একই আসন থেকে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন প্রাইম ব্যাংক লিমিটেডের সাবেক চেয়ারম্যান ও বর্তমান পরিচালক কাজী সিরাজুল ইসলাম।
ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর-কাঁঠালিয়া) আসন থেকে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইসমাইল। আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী তিনি।
বর্তমানে এ আসনের সংসদ সদস্য হিসেবে আছেন প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালক বজলুল হক হারুন (বিএইচ হারুন)। ধর্ম মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান তিনি। তিনিও এবার মনোনয়ন প্রত্যাশী।
টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন সোনালী ব্যাংকের পরিচালক মো. নুরুল আলম তালুকদার। কুষ্টিয়া-১ (দৌলতপুর) থেকে নির্বাচন করতে চান অগ্রণী ব্যাংকের পরিচালক আনসার আলী খান।
নরসিংদী-৩ (শিবপুর) আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য মো. সিরাজুল ইসলাম মোল্লা বেসরকারি প্রাইম ব্যাংকের পরিচালক। গত সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক না পেয়ে স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচন করেছিলেন। আগামী সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়ার চেষ্টা করছেন তিনি।
প্রিমিয়ার ব্যাংকের চেয়ারম্যান ডা. এইচবিএম ইকবাল ঢাকার যেকোনো একটি আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী।
মার্কেন্টাইল ব্যাংকের চেয়ারম্যান একেএম সাহিদ রেজা শিমুল ফেনী-২ (সদর) আসন থেকে নির্বাচন করতে চান। রেজা গ্রুপের চেয়ারম্যান এ ব্যবসায়ী এফবিসিসিআইয়ের পরিচালকও।
মার্কেন্টাইল ব্যাংকেরই সাবেক চেয়ারম্যান ও বর্তমান পরিচালক আকরাম হোসেন হুমায়ুন ফেনী-৩ (সোনাগাজী, দাগনভূঞা) আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী।
নোয়াখালী-২ (সেনবাগ, সোনাইমুড়ী) আসনের এমপি মোরশেদুল আলম মার্কেন্টাইল ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ও বর্তমান পরিচালক। আগামী সংসদ নির্বাচনেও তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী।
ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিচালক হিসেবে আছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির কর্মসংস্থান-বিষয়ক সম্পাদক জাকারিয়া তাহের সুমন। তিনি কুমিল্লা-৮ (বরুড়া) আসন থেকে দলটির মনোনয়নপ্রত্যাশী।
শরীয়তপুর-২ (নড়িয়া, সখিপুর) আসন থেকে নির্বাচন করতে আগ্রহী দেশের প্রথম প্রজন্মের ন্যাশনাল ব্যাংকের স্বতন্ত্র পরিচালক ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা একেএম এনামুল হক শামীম। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন তিনি।
শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের পরিচালক আনোয়ার হোসেন খান লহ্মীপুর-১ (রামগঞ্জ) আসন থেকে নির্বাচন করতে আগ্রহী। আনোয়ার খান মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের এ কর্ণধার মডার্ন গ্রুপের চেয়ারম্যান।
মধুমতি ব্যাংকের পরিচালক হিসেবে রয়েছেন বর্তমান এমপি ও বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্য ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস। ঢাকা-১০ (ধানমন্ডি-জিগাতলা) আসনের এই সংসদ সদস্য আগামী নির্বাচনে প্রার্থী।
মধুমতি ব্যাংকের পরিচালক হিসেবে আছেন চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) আসনের সংসদ সদস্য মো. দিদারুল আলম। আগামী নির্বাচনেও একই আসন থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী তিনি।
মাদারীপুর-১ আসনের (শিবচর) এমপি নূর ই-আলম চৌধুরীও মধুমতি ব্যাংকের পরিচালক। আগামী নির্বাচনেও তিনি এ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী।
নতুন প্রজন্মের মেঘনা ব্যাংকের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বে আছেন সংসদ সদস্য এইচএন আশিকুর রহমান। রংপুর-৫ (মিঠাপুকুর) আসনের এ সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির কোষাধ্যক্ষ। আগামী সংসদ নির্বাচনেও তিনি মিঠাপুকুর আসন থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী বলে জানা গেছে।
মেঘনা ব্যাংকের পরিচালক হিসেবে আছেন সংসদ সদস্য এমএ মালেক। তিনি ঢাকা-২০ (ধামরাই) আসন থেকে আওয়ামী লীগ থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। আগামী নির্বাচনেও একই আসন থেকে মনোনয়ন চান তিনি।
তবে একই আসন থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হতে চান মেঘনা ব্যাংকের আরেক পরিচালক আবদুল আলিম খান সেলিম। তিনি ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতির দায়িত্বে আছেন।
নতুন প্রজন্মের মিডল্যান্ড ব্যাংকের অন্যতম উদ্যোক্তা আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্যাহ। ফরিদপুর-৪ (ভাঙ্গা, সদরপুর, চরভদ্রাসন) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য তিনি। আগামী নির্বাচনে কাজী জাফর উল্যাহ এ আসন থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী।
মিডল্যান্ড ব্যাংকের উদ্যোক্তাদের একজন সিরাজগঞ্জ-৫ (শাহজাদপুর) আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল মজিদ মন্ডল। বর্তমানে তার পক্ষে ব্যাংকটিতে প্রতিনিধিত্ব করছেন তার ছেলে আব্দুল মমিন মন্ডল। আগামী সংসদ নির্বাচনে সিরাজগঞ্জ-৫ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী তিনি।
নতুন প্রজন্মের এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব পালন করছেন নিজাম চৌধুরী। যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী এ আওয়ামী লীগ নেতা ফেনী-৩ (সোনাগাজী, দাগনভূঞা) আসন থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী।
সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংকের পরিচালক ক্যাপ্টেন (অব.) এম মোয়াজ্জেম হোসেন নির্বাচন করতে চান বরিশাল-২ (বানারীপাড়া, উজিরপুর) আসন থেকে। তিনি আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী।
জাতীয় সংসদের দুজন সদস্য আছেন যমুনা ব্যাংকের পর্ষদে। এর মধ্যে নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজী যমুনা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান। গাজী গ্রুপের চেয়ারম্যান আগামী সংসদ নির্বাচনে একই আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী।
যমুনা ব্যাংকের পরিচালক মো. তাজুল ইসলাম কুমিল্লা-৯ (লাকসাম, মনোহরগঞ্জ) আসন থেকে লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। জাতীয় পার্টির এ সংসদ সদস্য আগামী নির্বাচনেও মনোনয়নপ্রত্যাশী। এ ছাড়া যমুনা ব্যাংকের আরও একাধিক পরিচালক আগামী সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপ্রত্যাশী বলে জানা গেছে।
এক্সিম ব্যাংকের পর্ষদে রয়েছেন জাতীয় সংসদের দুজন সদস্য। এর মধ্যে আব্দুল মান্নান বগুড়া-১ আসনের সংসদ সদস্য। এক্সিম ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যানের দায়িত্বে রয়েছেন তিনি। লহ্মীপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য মো. আবদু্লাহ রয়েছেন এক্সিম ব্যাংকের পরিচালক পদে। আগামী সংসদ নির্বাচনে এ দুই সংসদ সদস্যই মনোনয়নপ্রত্যাশী।