বিদেশের খবর: মিয়ানমারের আরকান রাজ্যে রোহিঙ্গা জাতি গোষ্ঠীর ওপর ধ্বংসযজ্ঞ ও বিতাড়ন ইস্যুতে বিশ্বব্যাপী সমালোচনায় দেশটির নেত্রী অং সান সু চি। একের পর এক বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সম্মাননা হারাচ্ছেন তিনি। এবার তার সম্মানসূচক নাগরিকত্ব বাতিল করার পদক্ষেপ নিচ্ছে কানাডা।
সু চির নাগরিকত্ব বাতিলের বিষয়ে কানাডার পার্লামেন্টে একটি বিল উত্থাপন করা হচ্ছে। ওই বিলের ওপর আলোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো।
মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গা নির্যাতনের যে ঘটনা ঘটেছে সেটিকে মুসলিমদের ওপর সেনাবাহিনীর বর্বর অভিযানে গণহত্যা আখ্যায়িত করে সর্বসম্মতিক্রমে ভোট দিয়েছেন কানাডার সংসদ সদস্যরা।
রোহিঙ্গা নির্যাতন নিয়ে জাতিসংঘের ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং কমিটি রোহিঙ্গাদের ওপর সেনাবাহিনীর নির্যাতনের যে প্রতিবেদনে দিয়েছে সেটিও বৃহস্পতিবার অনুমোদন দিয়েছে দেশটির হাউস অব কমন্সে।
নিউইয়র্কে জাতিসংঘের এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রুডো বলেন, পার্লামেন্ট তাকে সম্মানজনক নাগরিকত্ব দিয়েছিল। তাই এ বিষয়ে আমরা অবশ্যই আলোচনা করতে পারি। কিন্তু একটা জিনিস আমি পরিষ্কার করে বলছি যে, মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চির কানাডার নাগরিকত্ব আছে কি নেই, সেটি সম্মানসূচক নাকি সম্মানসূচক নয়, রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে এটা কোনো পার্থক্য করে না।
অং সান সু চির নাগরিকত্ব কেড়ে নিচ্ছে কানাডা
পূর্ববর্তী পোস্ট