অনলাইন ডেস্ক: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণের দিন ওয়াকিটকি ব্যবহারের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। মোবাইল ফোনের পাশাপাশি ভোটগ্রহণের কাজে সংশ্লিষ্টদের মধ্যে দ্রুততম সময়ে যোগাযোগ এবং ফলাফল ঘোষণার কাজে এ ডিভাইস ব্যবহার করা হবে। এ লক্ষ্যে সরকারের কাছে অতিরিক্ত ২ হাজার ৫২ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়েছে কমিশন। ইসি সচিবালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এ প্রসঙ্গে ইসি সচিব হেলালুদ্দিন আহমদ বলেন, ওয়াকিটকির প্রজেক্ট সম্পূর্ণ চায়না সরকারের অনুদান হবে। শুধু ভ্যাট বাবদ বাংলাদেশ সরকারকে অর্থ পরিশোধ করতে হবে। যারা রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসাদের যোগাযোগের জন্য অনেক সময় মোবাইল নেটওয়ার্ক পেতে দেরি হয়। পুলিশের যেমন ওয়্যারলেস রয়েছে সেরকম নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কাজে যেসব কর্মকর্তা নিয়োজিত থাকবে তারা ব্যবহার করবে।
ইসি সূত্র জানায়, ওয়াকিটকি প্রকল্পের জন্য অর্থ বরাদ্দ চেয়ে গত সপ্তাহে ভারপ্রাপ্ত অর্থ সচিব আব্দুর রউফ তালুকদারের কাছে চিঠি দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের সচিব হেলালুদ্দিন আহমদ। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, নির্বাচনে ওয়াকিটকি ব্যবহার প্রকল্পের জন্য চীন সরকারের ৫৩ কোটি টাকা অনুদান পেতে ঢাকায় চীনা দূতাবাসে চিঠি পাঠানো হয়েছে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আসন্ন। নির্বাচনে ‘ইউজ অফ ডিজিটাল মোবাইল রেডিও কমিউনিকেশন সিস্টেম (ওয়াকিটকি) ইন ইলেকশন’ শীর্ষক প্রকল্প গ্রহণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মধ্যমেয়াদী বাজেট কাঠামোর (এমটিবিএফ) আওতায় নির্বাচন কমিশন কর্তৃক প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে মোট এক হাজার ১৪৫ কোটি ৭৫ লাখ টাকা পর্যন্ত সিলিং নির্ধারিত রয়েছে। আসন্ন নির্বাচনে সীমিতসংখ্যক আসনে ভোট গ্রহণ ও ফলাফল ঘোষণার কাজে ইভিএম এবং ওয়াকিটকি ব্যবহারের জন্য মধ্যমেয়াদী বাজেট কাঠামোর আওতায় ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে মোট ২ হাজার ৫২ কোটি টাকা অতিরিক্ত বরাদ্দ প্রয়োজন।
মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধ থাকবে কিনা-এমন প্রশ্নে ইসি সচিব হেলালুদ্দিন আহমদ বলেন, ভোটের দিন মোবাইল নেটওয়ার্ক থাকবে।
ভোটের দিন ওয়াকিটকি ব্যবহার করতে চায় ইসি
পূর্ববর্তী পোস্ট