প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা দেশবাসীর উদ্দেশে বলেছেন, উন্নয়নের স্বার্থে আগামী নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট দিন। যাকেই দলের প্রতীক দেয়া হবে তাকেই বিজয়ী করে সেবা করার সুযোগ চাই। নৌকায় ভোট দিলেই দেশের উন্নয়ন হয়। প্রতিটি গ্রামকে শহরে উন্নীত করতে কাজ করছে সরকার।
শনিবার বরগুনা জেলার তালতলী উপজেলার বরবগি ইউনিয়নের সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক বিশাল জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, উন্নয়নের রোল মডেলের যে সম্মান বাংলাদেশ পেয়েছে তা ধরে রাখতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা সাড়ে তিন বছরে মানুষের জীবন-মান উন্নয়নে কাজ করেছেন। তার সেই নির্দেশনা মেনেই আমরা রাষ্ট্র পরিচালনা করছি। আপনারা নৌকা মার্কায় ভোট দিয়েছেন সে জন্য আমরা উন্নয়ন করতে পেরেছি। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের বিজয়ী করতে হবে।
এসময় উপস্থিত জনতা শ্লোগান দিয়ে নৌকায় ভোট দেওয়ার অঙ্গীকার করেন। জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন বাবা-মা সব হারিয়ে, সেই শোক-ব্যাথা বুঁকে নিয়েও আমি কাজ করে যাচ্ছি। কাদের জন্য? বাংলার মানুষের জন্য। কারণ এই মানুষের জন্যই আমার বাবা জীবন দিয়ে গেছেন। আমার মা জীবন দিয়ে গেছেন, আমার ভাইয়েরা জীবন দিয়ে গেছেন। আমি শুধু চাই যে বাংলাদেশের জন্য আমার বাবা জীবন দিয়ে গেছেন, যে বাংলাদেশের জন্য আমি সব স্বজন হারিয়েছি, স্বজন হারানোর বেদনা নিয়েও আজকে আপনাদের পাশে দাঁড়িয়েছি শুধু একটাই কারণে, বাংলাদেশকে যেন আমার বাবার স্বপ্নের ক্ষুধা মুক্ত, দারিদ্র্য মুক্ত সোনার বাংলাদেশ গড়তে পারি।
তিনি বলেন, দক্ষিণাঞ্চল সবসময় অবহেলিত ছিলো। আমরা পায়রা বন্দর, স্কুুল, কলেজ, কালভার্ট, সেতুসহ অনেক উন্নয়ন করেছি। ভবিষ্যতে আর কষ্ট করতে হবে না। পায়রায় বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে, দক্ষিণাঞ্চলে আরো বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। নদী পথ ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে নৌ-পথ সচলের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। দক্ষিণাঞ্চলের খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি করতে লবনাক্ততা সহিষ্ণু ফসল উৎপাদনে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আগামী একশ বছর পর যে বাংলাদেশ হবে সে অনুযায়ী পরিকল্পনা গ্রহণ করে কাজ করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা চাই, আমাদের দেশের মানুষ সুখী সমৃদ্ধশালী হয়ে জীবন যাপন করবে। বিশ্বসভায় মাথা উঁচু করে চলবে। মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জন করে আমরা যে সম্মান পেয়েছিলাম, পঁচাত্তরে জাতির পিতাকে হত্যা করে সে সম্মান হারিয়ে গিয়েছিল। আজকে আবার আমরা দেশের উন্নয়নের মধ্য দিয়ে আবার বিশ্ব দরবারে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে সম্মান আমরা ফিরে পেয়েছি। সেই সম্মান ধরে রাখতে হবে। তাই আরেকটি বার আওয়ামী লীগকে আগামীতেও নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আমাদেরকে আপনাদের সেবা করার সুযোগ দেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সন্ত্রাস, মাদক ও জঙ্গিবাদের স্থান বাংলাদেশে হবে না। মাদকে না জড়িয়ে খেলাধুলা ও সংস্কৃতি চর্চায় মনোনিবেশ করতে হবে। আমাদের লক্ষ্য একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না ও চিকিৎসা বঞ্চিত হবে না। সে লক্ষ্যে আমরা নানান পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি ও জেলা-উপজেলায় শিক্ষক, চিকিৎসক ও নার্স নিয়োগ করেছি। প্রধানমন্ত্রী বলেন আগামী নির্বাচনে যাকে নৌকায় মনোনয়ন দেয়া হবে তার পক্ষে সকলকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করে বিজয়ী করতে হবে।